West Bengal School: অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য ৫ বছরে ৫০০টি স্কুল তৈরির সিদ্ধান্ত
West Bengal School: ওই স্কুলগুলিতে দেড় হাজার প্যারাটিচার নিয়োগ করা হবে। নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরি ও কুরমালি ভাষায় পঠনপাঠনের ৫ বছরে ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে।
শিলিগুড়ি: অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য ৫ বছরে ৫০০টি স্কুল তৈরি করে দেওয়া হবে। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। গতকাল, উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন বৈঠকে বসেন আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য ৫ বছরে ২০ লক্ষ ঘর তৈরি যাঁদের মাটির বাড়ি রয়েছে, সেগুলি পাকা করা হবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের জাহের থান ও মাজি থানের দরিদ্র মাজিরা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য ৫ বছরে ৫০০টি স্কুল তৈরি এবং তাতে দেড় হাজার প্যারাটিচার নিয়োগ করা হবে। নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরি ও কুরমালি ভাষায় পঠনপাঠনের ৫ বছরে ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। SC, ST ও গরিবদের জন্য ৩ বছরে ১০০টি নতুন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল তৈরির সিদ্ধান্তও এদিন নেওয়া হয়েছে।
সরকারি অনুষ্ঠানে কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল ৩ বিজেপি নেতাকে। উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত হলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রী-আমলা থেকে শুরু করে, পুলিশ কর্তা, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের জনপ্রতিনিধিদের কোনওদিনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে বিজেপির ৩ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা দশরথ তিরকে। এবং বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। এদের মধ্যে একমাত্র খগেন মুর্মু বৈঠকে যোগ দেন।
লোকসভা ভোটের পর গত বিধানসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছে বিজেপি। তবে ২৪ ঘণ্টা আগে, শিলিগুড়ির পুরভোটে বিপুল ভোটে জিতে প্রথমবার বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে দাবি, উত্তরবঙ্গে বিজেপির একাধিক জন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বেশ কয়েকজনের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে জল্পনাও শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি বৈঠকে বিরোধী বিজেপি নেতাদের আমন্ত্রণ ও সেখানে বিজেপি সাংসদের যোগদানকে যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Group D: গ্রুপ ডি-র বেতন বন্ধের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের