(Source: Poll of Polls)
North Bengal Rain: অবিরাম ধারাপাত উত্তরবঙ্গে, বাড়ছে নদীর জল, বিপর্যস্ত জনজীবন
West Bengal News: ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার, তুফানগঞ্জের ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে তুফানগঞ্জের রায়ডাক নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলি। অন্যদিকে ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি সহ ডুয়ার্সজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে (North Bengal Rain) ভেসে গিয়েছে নদী বাঁধ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক এলাকা।
বিপর্যস্ত জনজীবন: গত কয়েকদিনে অবিরাম ধারাপাত। ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার, তুফানগঞ্জের ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে তুফানগঞ্জের রায়ডাক নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহারের তোর্সা নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন এই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি ও ডুয়ার্সজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভাসল বানারহাটের চাচার বাঁধ। যার জেরে যোগাযোগ পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন বাঙ্কুবাজার থেকে আংরাভাসার।
জলের তলায় বাস: সেচ দফতর সুত্রে খবর, তিস্তা ব্যারেজ থেকে এদিন সকালে ৩২০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকা। জলের তলায় প্রায় ৪০টি বাড়ি। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। চাষের জমি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জলের তলায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এক হাঁটু জল জমে গিয়েছে বাড়িতে। জল কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সকলকে। আকাশের কালো মেঘ রয়েছে। সকাল বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বাগরাকোটে, টোটগাঁও আর ক্রান্তির পূর্ব দোলাইগাও ও সাহেববাড়িতে জলবন্দি মানুষ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ আরও কিছুদিন চলবে। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ের পাশাপাশি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়বে। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। ফলে উত্তরে দুর্ভোগ এখনই কমছে না। সিকিম ও দার্জিলিং-কালিম্পঙে অবিরাম বৃষ্টিতে তিস্তার জল বিপদসীমার ওপরে। জলের তোড়ে সিকিমের দিক থেকে কালিম্পঙের তারখোলায় ভেসে এসেছে মৃতদেহ। দার্জিলিং-কালিম্পং রোডের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা। ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। জলে ভাসছে তিস্তাবাজার এলাকা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের জায়গায় জায়গায় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। গাড়ির লম্বা লাইন, আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। আবহাওয়া দফতর দুর্যোগ চলবে বলে জানানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাহাড়বাসী।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে প্রাক্ বর্ষার বৃষ্টি। দুপুর থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে বা আগামী সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে আজও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Kanchenjunga Express: ট্রেন দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে মায়ের সঙ্গে কথা, মৃত নবম ব্যক্তির খোঁজ