Asansol News: 'চিকিৎসার গাফিলতিতে' রেলের টিকিট চেকারের মৃত্যু, ভাঙচুর আসানসোলের নার্সিংহোমে
Asansol Rail Worker Death: পরিবারের দাবি, ওই রেল কর্মীকে অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারের জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার গাফিলতিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের..
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। আসানসোলের হিলভিউ নার্সিংহোমে চলল ভাঙচুর। মৃত মনোজ রায় রেলের আসানসোল ডিভিশনে টিকিট চেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের দাবি, ওই রেল কর্মীকে অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারের জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার গাফিলতিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এরপরই মৃতের পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। নার্সিংহোমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। মৃতের পরিবারের তরফে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের একাধিক জেলায় এর আগে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। কখনও অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যু, অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণের অভিযোগ, কখনও আবার দালালচক্রের ভুরিভুরি অভিযোগ। তবে এখন এই অভিযোগ এলে নার্সিংহোমের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে আগেই জানিয়েছে রাজ্যের প্রশাসন। আর এবার অভিযোগের কাঠগড়ায় আসানসোলের হিলভিউ নার্সিংহোম। এদিকে রেলকর্মীর মৃত্যুতে ওই এলাকায় শোকের ছায়া।
অপরদিকে, রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য নিয়ে আগাম সচেতন স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে নতুন উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের। কোন মশা কোন প্রজাতির ডেঙ্গির জীবাণুর বাহক জানতে মশার সেরো টাইপিং করা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কোনও এলাকার মশা কত ভয়ানক জানার পরেই তৈরি হবে সতর্কতার ব্লু প্রিন্ট। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - মশার উপদ্রব এখন সর্বক্ষণের সঙ্গী। শহর হোক বা জেলা, প্রায় সারা বছরই ডেঙ্গির উদ্বেগ-আতঙ্ক। নতুন বছরের প্রথম দু'মাসেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। ডেঙ্গিকে বশে আনতে এবার নতুন উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন, আজ সকালেই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক কমিশনের ফুল বেঞ্চের
এতদিন কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাঁর RNA সংগ্রহ করে 'সেরো টাইপিং' করা হত। তার থেকে বোঝা যেত কোন ধরনের ডেঙ্গির প্রজাতিতে আক্রান্ত রোগী। এবার আরও একধাপ এগোল স্বাস্থ্য দফতর।আর রোগী নয়, এবার সরাসরি মশার শরীর থেকে 'রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড' সংগ্রহ করে 'সেরো টাইপিং' করা হবে। এতে বোঝা যাবে কোন মশা কোন প্রজাতির ডেঙ্গির জীবাণুর বাহক। 'DENV 2' এবং 'DENV 3' এই দুটি ডেঙ্গির প্রজাতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। যে এলাকার মশার শরীরে বেশি মারাত্মক জীবাণু সেই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নেবে স্বাস্থ্য দফতর। এই 'সেরো টাইপিং'য়ের ওপর নির্ভর করে তৈরি করে এলাকাভিত্তিক ডেঙ্গি সচেতনতার ব্লু প্রিন্ট। এই কাজ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগকে।