West Burdwan: উত্তরাখণ্ড থেকে রাজ্যে ফিরল এক দম্পতি-সহ পাঁচ পর্যটকের কফিনবন্দি দেহ
কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক...
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) থেকে রাজ্যে ফিরল এক দম্পতি-সহ পাঁচ পর্যটকের কফিনবন্দি দেহ। পাঁচজনই পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) বাসিন্দা। এদিন পাঁচজনের দেহ আনা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় কৌশানি (Kaushani) থেকে নৈনিতাল (Nainital) যাওয়ার পথে খাদে গাড়ি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এরাজ্যের ৫ বাসিন্দার। তাঁরা প্রত্যেকেই পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, আসানসোল ও রানিগঞ্জের বাসিন্দা।
৩০ জনের দলটি পুজোর পর উত্তরাখণ্ড গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন -- দুর্গাপুরের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুব্রত ভট্টাচার্য ও রুনা ভট্টাচার্য। দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শেষবারের জন্য মুখ দেখার অপেক্ষা, উত্তরাখণ্ড থেকে আজ ফিরছে আরও ৫ অভিযাত্রীর দেহ
খবরটা আসার পর থেকে পর্যচকদের বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। এছাড়া, উত্তরাখণ্ডের এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আসানসোলের বাসিন্দা শ্রাবণী চক্রবর্তী, রানিগঞ্জের বাসিন্দা চন্দনা খাঁ এবং সিটু নেতা কিশোর ঘটক।
কিশোর ঘটকের দেহ আনতে তত্পর হয়েছে সিপিএম। দলের নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, গতকালই জেলাশাসক ও সিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। আজ বিকেলে জানা যাবে দেহগুলি কখন আনার ব্যবস্থা হবে।
এদিকে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সেখানেই তরজায় জড়ালেন তৃণমূল-বিজেপির দুই নেতা। মৃত সুব্রত ভট্টাচার্য ও রুনা ভট্টাচার্যর বাড়িতে যান দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মই ঘড়ুই। তখন সেখানে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশীল চট্টোপাধ্যায়। শোকের আবহে, সেখানেই বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই নেতা।
অন্যদিকে, আসানসোলের বাসিন্দা, মৃত শ্রাবণী চক্রবর্তীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যান রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসেন তিনি।
আহত পর্যটকদের উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।