West Burdwan: কাঁকসায় দুয়ারে সরকার শিবিরে ফর্ম পূরণ করে লোকজনকে সাহায্য সিপিএম-বিজেপি নেতাকর্মীদের
রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে শিবিরে আসা সাধারণ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বা ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: জেলার কাঁকসা ব্লকে চলছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার শিবির। আর সেই শিবিরে এলাকার লোকজনকে সহযোগিতা করতে দেখা গেল বিরোধী দল সিপিএম ও বিজেপির নেতানেত্রীদেরকে।
কাঁকসা পানাগড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। স্বাভাবিকভাবেই এই দুয়ারে সরকার শিবিরে বহু মানুষ আসছেন বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নিতে।
আর শিবিরে যোগদানকারী লোকজনদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা লোকজনকে ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় রাজ্য সরকার যে সকল উন্নয়ন মূলক কাজের সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী দলগুলোকে তার ত্রুটি-বিচ্যূতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায়। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের শনিবারের দুয়ারে সরকার শিবিরের ছবি কিন্তু অন্য কথা বলছে । কাঁকসার মহিলা সিপিএম নেত্রী দিপা মন্ডল ও কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নির্মলা কাউর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। সেই কারণেই রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে শিবিরে আসা সাধারণ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বা ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন।
কাঁকসার বিজেপি নেত্রী অপর্ণা চট্টোপাধ্যায়ও একই মতামত ব্যক্ত করেছেন। কাঁকসার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মসূচীকে যেভাবে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা সমর্থন করেছেন, ও এর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে সহযোগিতা করছেন, সেজন্য তাঁদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটাই আসলে সরকারের সাফল্য।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। বর্তমানে দুয়ারে সরকার শিবির চলছে। বিভিন্ন সরকারি সুবিধার জন্য আবেদন সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্যও ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ারও কাজ চলছে। বিভিন্ন শিবিরেই প্রচুর ভিড় দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, একসঙ্গে ভিড় করার প্রয়োজন নেই। একমাস ধরে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চলবে। প্রয়োজন হলে শিবির আরও কয়েকদিন বাড়ানো হবে। যাঁরা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা প্রত্যেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।