West Burdwan News: কয়লা উত্তোলনের সময় বিস্ফোরণ, একাধিক বাড়িতে ফাটল, ঘরছাড়া বহু
ECL Explosion House Crack: পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) লাউদোহার শীর্ষা এলাকায় একের পর এক বাড়িতে ফাটল, চরমে আতঙ্ক।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) লাউদোহা কয়লা খনিতে কয়লা (Coal) উত্তোলনের সময় বিস্ফোরণ। শীর্ষা গ্রামে একের পর এক বাড়িতে ফাটল (House Crack)। আতঙ্কে ঘরছাড়া অনেকে। ঝড়-বৃষ্টিতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন, চিন্তায় শীর্ষার বাসিন্দারা। ECL কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব স্থানীয়রা।
একের পর এক বাড়িতে ফাটল: পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) লাউদোহার শীর্ষা এলাকায় একের পর এক বাড়িতে ফাটল, চরমে আতঙ্ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইসিএলের (ECL) খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় মাটির নিচে লাগাতার বিস্ফোরণের (Blast) জেরেই বাড়িতে ফাটল ধরছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির বাসিন্দার কথায়, “১৯টি ঘরে ফাটল। ছোট বাচ্চা নিয়ে কোথায় থাকব। ঝড়-বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা।’’
কী বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা? ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, রাজ্য সরকার (West Bengal Government) তাঁদের জমির জন্য পাট্টা দিয়েছিল, তার ওপরই তারা ঘর তৈরি করেছে। কিন্তু, পাট্টা ভুয়ো বলে নোটিস পাঠিয়েছে ECL কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দারা বলছেন, “এখানে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। আমাদের সব কাগজপত্র আছে। ফাটলের পর ইসিএল-রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ ঝাঁঝড়া অঞ্চলে ECL-এর জেনারেল ম্যানেজার অজয় কুমার শর্মা বলেন, “বিস্ফোরণের কারণে নয়, হয়তো ভারী বৃষ্টির কারণে ফাটল ধরেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানাব।’’
তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা: গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দায় ঝাড়তে গিয়ে দলেরই একাংশের সঙ্গে বিজেপির (BJP) যোগসাজোশের অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্য। শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য লতিকা লাহা বলেন, “ECL না বললে পঞ্চায়েত সদস্য কিছু করতে পারবে না। এখানে রাজনীতি চলছে। যুব তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করছিল। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূল লোকসভার ভোটের সময় বলত এখানে বিজেপি বলতে কিছু নেই এখন কেন আমাদের কথা বলছে? এখানে অবৈধ খনি চলে।’’লাউদোহায় কোলিয়ারি এলাকায় বাড়িতে ফাটলের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। লাউদোহায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইসিএল ও ডিএমের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব।’’ কিন্তু, শেষ অবধি সমস্যা কবে মিটবে, সেদিকেই তাকিয়ে ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুন: TMC Leader : বাঁকুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ৩ কোটি টাকার বাড়ি, বিজেপির অভিযোগে তুঙ্গে তরজা