Medinipur : কলঙ্কিত গর্বের ইতিহাস, রাস্তায় মারামারি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল ও মেদিনীপুর কলেজের পড়ুয়াদের
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজনারায়ণ বসু, ক্ষুদিরাম বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে আছে সেই ঐতিহ্যবাহী মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল ও মেদিনীপুর কলেজের পড়ুয়ারাই জড়িয়ে পড়ল সংঘর্ষে।
অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর : স্কুলের আবাসনে কলেজের অধ্যক্ষের থাকা নিয়ে বিবাদ। ঐতিহ্যবাহী দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের সংঘর্ষে ধুন্ধুমারকাণ্ড মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল ও মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি। আহত হলেন বেশ কয়েকজন।
রাস্তার মধ্যে স্কুল ছাত্র বনাম কলেজ পড়ুয়াদের লড়াই। পুলিশের ব্যারিকেড নিয়ে টানাটানি। ধস্তাধস্তি। ধুন্ধুমারকাণ্ড মেদিনীপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হল পুলিশকে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজনারায়ণ বসু, ক্ষুদিরাম বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে আছে সেই ঐতিহ্যবাহী মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল ও মেদিনীপুর কলেজের পড়ুয়ারাই জড়িয়ে পড়ল সংঘর্ষে।
কী থেকে বিবাদ
গন্ডগোলের সূত্রপাত এই পরিত্যক্ত আবাসনকে ঘিরে। একসময় যেখানে থাকতেন, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সাহিত্যিক রাজনারায়ণ বসু। স্কুল ও কলেজ একেবারে পাশাপাশি। সম্প্রতি স্কুলের এই আবাসনে থাকতে শুরু করেছিলেন মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ। এই নিয়ে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আবাসন ব্যবহারের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মেদিনীপুর আদালত। তারপরও মঙ্গলবার আবাসন পরিষ্কার করতে ঢোকেন কলেজ পড়ুয়ারা। তখনই বাধা দিতে চলে আসে স্কুল ছাত্ররা। এরপরই বেধে যায় ধুন্ধুমারকাণ্ড। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বেশ কয়েকজন আহত’র।
কে কী বলছেন
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতনকুমার মান্না বলেছেন, 'এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষি রাজনারায়ণ বসু থাকতেন ওই কোয়াটারটিতে। পরবর্তীকালে আমাদের এই স্কুলের গর্ভ থেকেই তৈরি হয়েছে মেদিনীপুর কলেজ। ওনাদের অধ্যক্ষ থাকার জায়গা পাচ্ছিলেন না বলে আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ, রাজনারায়ণ বসুর কোয়ার্টারে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। এখন সেই স্থানটাই ওরা দখল করতে চাইছে। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও ওরা গাজোয়ারী করে দখল করতে চাইছে। কলেজের ছাত্ররা এসে আমাদের ছোট ছোট ছাত্রদের উপর হামলা করেছে।' অপরদিকে, মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা বলেছেন, 'আদালতের রায় আমাদের পক্ষেই রয়েছে। অপরিচ্ছন্ন থাকা ওই কোয়াটারটি পরিষ্কার করতে গিয়েছিল কলেজের এনে শেষের ছাত্ররা। ওখানকার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক আমাদের বাধা দিয়ে গন্ডগোল করেছে।'