Chandrakona Bad Road: বেহাল রাস্তায় বিপাকে রোগী, হাসপাতাল থেকে খাটিয়ায় শুয়ে বাড়ির পথে
West Midnapore: চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বহুদিন ধরে বেহাল। বন্যার জলে রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে।

সোমনাথ দাস, চন্দ্রকোণা: রাস্তা খারাপ হওয়ার জেরে ফের ফল ভুগতে হল রোগীকে। হাসপাতাল থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা খাটিয়ায় চাপিয়ে নিয়ে যেতে হল ষাটোর্ধ্ব মহিলাকে। এমনই বেহাল দশা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত যদুপুর গ্রামের।
রাস্তার এমনই দশা যে সেখান থেকে যেতে পারবে না অ্যাম্বুলেন্স। বাধ্য হয়ে তাই রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে আনা হল খাটিয়া। লজ্জার এই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বহুদিন ধরে বেহাল। বন্যার জলে রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। শিলাবতী নদীর ধারে গ্রামের একমাত্র পাকা রাস্তাও ভেঙেচুরে গেছে। ফলে যদুপুরের বাসিন্দা যমুনে বেরাকে গতকাল হাসপাতাল থেকে খাটিয়ায় চাপিয়ে কাদামাটির রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে যদুপুর গ্রামের গ্রামীণ রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়ে মাঝেমধ্যে জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা মেরামত করানো হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
দিনকয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়েও একই ধরনের ঘটনা সামনে আসে। গ্রামরাজ পঞ্চায়েত এলাকার সানদেউলি গ্রামে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার এমনই শোচনীয় অবস্থা, যে গাড়ি, বাইক তো দূরের কথা, সাইকেল অবধি চালানো দুষ্কর। গত বুধবার সেখানেই সরস্বতী সামাট নামে এই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হত। কিনতু পরিবারের দাবি, এই রাস্তায় কোনও অ্য়াম্বুল্য়ান্স ঢুকতেই রাজি হয়নি। বাধ্য় হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধাকে বাঁশের ডুলিতে চাপিয়ে রওনা দেন পরিবারের সদস্য়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। প্রশাসনকে জানালেও কেউ কথা কানেই তোলেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। মাস দুয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়েই কাদায় ভরা রাস্তায় প্রসূতিকে নিয়ে আটকে পড়েছিল গাড়ি। শেষ অবধি গাড়িতেই প্রসব করাতে হয়। এই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই টনক নড়ে প্রশাসনের। রাস্তা মাপার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে শুরু হয় মাপজোক।
তবে এই ছবি যে শুধু জেলার তা নয়। খাস কলকাতাতেও একাধিক রাস্তা খানাখন্দে ভরা। তাতে ক্ষোভের পাহাড় জমছে। তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। সল্টলেকে ৯ নম্বর আইল্যান্ডে বেহাল রাস্তা। খানা খন্দে জল জমে রয়েছে। রাস্তায় কই মাছ ছেড়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বিজেপির অভিযোগ, অর্থ মঞ্জুর হলেও রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মেয়রের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।























