Ghatal Flood: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল; যাতায়াতে সমস্যা, প্লাবিত এলাকায় পিছোল পরীক্ষা
West Midnapore: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছে শীলাবতী ও ঝুমি নদীতে। জলমগ্ন ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড।

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন ঘাটাল। পুর এলাকার ১৩টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকাও জলের তলায়। যাতায়াতে ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। জলমগ্ন ঘাটালে কার্যত বন্ধ পঠন-পাঠন। স্কুলে আসতে পারছে না ছাত্ররা। পিছিয়ে গেল কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছে শীলাবতী ও ঝুমি নদীতে। জলমগ্ন ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড। প্লাবিত ঘাটালের ৫টি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, শুধু জল আর জল। কোথাও জলের তলায় চলে গেছে হাজার হাজার বিঘার ধান জমি। কোথাও মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। তো কোথাও চরম জলযন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘাটালে যাতায়াতের সমস্ত পথের প্রায় বন্ধ। শুধুমাত্র ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকো করে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। তাই স্কুলের পঠন-পাঠন প্রায় বন্ধ। পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে প্রায় তিন চারটি স্কুলে। এক মাসে প্রায় চারবার বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হল ঘাটালবাসী। ওই এলাকার এক বাসিন্দা নিদান কোলে জানান, "মানুষ যাতায়ত করতে পারছে না। রাস্তাঘাট একেবারে ডুবে যাচ্ছে। জল তো ভালই বেড়ে গেছে। মানুষ যেতে পারছে না। যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।''
এলাকার বাসিন্দাদের যখন ক্রমশ জল যন্ত্রণা বাড়ছে, তখন প্রশাসনের গলায় শোনা গেছে আশ্বাসের সুর। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, "আমাদের সমস্ত পরিষেবা চলছে।আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। বন্য়া পরিস্থিতি যতদিন উন্নতি না হয় আমাদের এই পরিষেবা চলবে।''
শুধু ঘাটালই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার ছবিটা প্রায় একইরকম। আরামবাগ থেকে বাঁকুড়া, কলকাতা থেকে হাওড়া, সর্বত্রই ছবিটা এক। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গত দুদিনে বাঁকুড়া জেলায় মোট ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দ্বারকেশ্বর-সহ জলস্তর বাড়ছে শালী নদী, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী নদীতে। পাত্রসায়রে নারায়ণপুর থেকে ধগড়িয়া যাওয়ার রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। শালী নদীর জলস্তর বেড়ে রাস্তায় উঠে আসায়, যাতায়াত বন্ধ। পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারছে না চাঁপাবনি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েকশো বিঘা ধান জমি জলের তলায়। বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।























