(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
CAA: 'সিএএ-তে উপকৃত হবেন মাত্র ৩১ হাজার ৩১৩ জন..', শাহ-কে বড় প্রশ্ন সাকেতের
Saket On Shah CAA: সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্নের সামনে রাখলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে..
কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ (CAA)। দু'হাজার উনিশ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA পাস করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। দু'হাজার চোদ্দ সালের একত্রিশে ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু , শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই CAA। কিন্তু ভোটের আগে এই ইস্যুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্নের সামনে রাখলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। ট্যুইটে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সাকেত গোখলে বলেন, 'সিএএ-র ফলে উপকৃত হবেন মাত্র ৩১ হাজার ৩১৩ জন। যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দেওয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।২০১৫-র আগে আসা মাত্র ৩১, ৩১৩ জনের জন্য সিএএ কার্যকর করা হল! আসল ক্রনোলজি এবং অ্যাজেন্ডা কী? আসল উদ্দেশ্য কী এরপর এনআরসি চালু করে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া?', এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলের।
মুখ্যমন্ত্রীও সিএএ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন,' আমার কথা হচ্ছে, কোন সালে 'ক্যা' আইনটা পাস হয়েছিল? তারপর বারবার এক্সটেনশন করে আজকে চার বছর লেগে গেল? নির্বাচনের সময়, দুদিন মাত্র বাকি নির্বাচনের। দু তিনদিন, তখনই এটা করার প্রয়োজন পড়ল কারণ, এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।'
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'মমতাজিকে হাতজোড় করে বলছি, দয়া করে এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি হিন্দুদের বিরুদ্ধে যাবেন না। আপনি নিজে বাঙালি। বাংলাদেশ থেকে যে বাঙালি হিন্দুরা এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন। মমতাজিকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে, এই আইনে একটি ধারা দেখান, যেখানে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সংস্থান রয়েছে। উনি নিজেই হিন্দু।মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ করার চেষ্টা করছেন। এভাবে নিজের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চাইছেন। ওঁকে বলছি, এটা করবেন না। পারলে অনুপ্রবেশ আটকান। '
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়িতে সুরক্ষিত না থাকলে চিন্তার বিষয় : দিলীপ
উনি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। অসমে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি আটকানো গেছে। কারণ ওখানে বিজেপির সরকার রয়েছে।কবে থেকে এই অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে? সংবাদ সংস্থা এএনআই-র প্রশ্নের উত্তরে শাহ বলেন,দেখুন,...সহযোগিতা না করলে অনুপ্রবেশকারী খুঁজে বের করতে সমস্যা হয়। কারণ সমস্ত তথ্য কালেক্টরের কাছে থাকে।...তবে ওই দিন খুব দূরে নয় যে, ওখানে বিজেপির সরকার আসছে এবং আমরা কঠোরভাবে এটা বন্ধ করব।