Behala Accident: একরত্তির মৃত্যুর দায় কার? এবার স্থানীয়দের মুখে ফুটপাত দখলের অভিযোগ
Kolkata News: সাত বছরের একটা ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু জন্ম দিয়েছে বহু প্রশ্নের।কার গাফিলতি? কার উদাসীনতার মাশুল গুনল একরত্তি ছেলেটা?
হিন্দোল দে, সুকান্ত মুখোপাধ্য়ায় ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: কেন অকালে মা-বাবার কোল খালি করে চলে গেল ছোট্ট সৌরনীল? দায়ী কে? অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও পুলিশের গাফিলতির পাশাপাশি স্থানীয়দের মুখে উঠে আসছে ফুটপাত দখলের অভিযোগ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, ফুটপাথ দখল নিয়ে একটি মনিটারিং সেল তৈরির ভাবনাচিন্তা করছে পুরসভা। এদিকে, ঘাতক গাড়ির চালক ও খালাসির ১৬ অগাস্ট অবধি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। বাকি ২৫ জনের ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
একরত্তির মৃত্যুর দায় কার? সাত বছরের একটা ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু জন্ম দিয়েছে বহু প্রশ্নের।কার গাফিলতি? কার উদাসীনতার মাশুল গুনল একরত্তি ছেলেটা? কেন অকালে মা-বাবার কোল খালি করে চলে গেল ছোট্ট সোনাই? অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও পুলিশের গাফিলতির পাশাপাশি স্থানীয়দের মুখে উঠে আসছে ফুটপাত দখলের বিষয়টি।স্থানীয়রা বলছেন, ফুটপাতের বেশিরভাগটাই চলে গেছে হকারদের। তাই বাস-গাড়ির প্রায় গা ঘেঁষে রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে তাঁদের। ওই এলাকার বাসিন্দা অমিতাভ ঘোষ বলেন, “রাস্তাটা দখল হয়ে গেছে। যেকোনও মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’
বেহালা ম্যানটনে রাস্তার ধারে একের পর এক নার্সারি।গাছপালার দোকান এসে পড়েছে রাস্তার উপর। ডায়মন্ডহার রোডের দুর্ঘটনার পর কড়াকড়ি থাকলেও, ম্যানটনে একাধিক গাছের দোকান রাস্তার উপরে এসে পড়েছে। বেহালা ম্যানটন থেকে বেহালা ট্রাম ডিপোর দিকে যাওয়ার পথে দেখা গেল ফুটপাথ দখল করে নির্মাণ সামগ্রীর দোকান। রাস্তার উপর রাখা বালি, ইট। নো পার্কিং জোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পণ্যপাহী গাড়ি। ফুটপাত দখল নিয়ে শুক্রবার পুলিশের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার, তিনি বলেন, একটি মনিটারিং সেল তৈরির ভাবনাচিন্তা করছে পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুলিশের নজরদারির জন্য সেল গঠন করব, কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করব।’’
শুক্রবার যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেই এলাকা বেহালা পশ্চিমের অন্তর্গত। সেখানকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় একবছর ধরে জেলবন্দি। বাসিন্দারা বলছেন, কোনও সমস্যা হলে বলার জায়গা নেই। এদিকে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়ক নেই বলে অভিযোগ জানাতে পারছেন না, বা নেই বলে অ্য়াক্সিডেন্ট হয়েছে এই যুক্তি ঠিক নয়।’’
শুক্রবারের ঘটনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কর্তব্যরত পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বেশ কয়েকজনের পরিবারের দাবি, তাঁরা নির্দোষ। শনিবার সকালে, বেহালা চৌরাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামে কংগ্রেস। ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের কাছে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTUC-র সদস্যরা। দুপুরে ডায়মন্ডহারবার রোড অবরোধ করে SFI ও DYFI।বড়িশা হাইস্কুলের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় তারা। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি, শুক্রবারের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিরীহকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ তুলে, তাঁদেরও মুক্তির দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Medinipur Weather: কখনও মেঘ, কখনও রোদ, আজ দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দুই জেলায়