C V Anand Bose: উপাচার্য নিয়োগে কারা থাকবেন সার্চ কমিটিতে? তালিকা তৈরি রাজ্যপালের
Governor On Search Committee: প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাতের আবহেই হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির (search committee) প্রতিনিধিদের তালিকা তৈরি। তাঁদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করা হবে। জানালেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য়পাল। তবে তাঁর মনোনীত ব্যক্তিরা এ রাজ্য়ের নাকি রাজ্য়ের বাইরের, সে নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাতের আবহেই হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
উপাচার্য-নিয়োগ নিয়ে রাজ্য়পাল-রাজ্য় সরকার সংঘাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় সর্বোচ্চ আদালত।স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে এবার সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। তিন পক্ষই থাকবে তাতে রাজ্য় সরকার, আচার্য এবং UGC।১০ দিনের মধ্য়ে সব পক্ষকে ৩ থেকে ৫ জন বিশিষ্ট ব্য়ক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতির দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন, রাজ্য়পালের আইনজীবী বলেন, সংবাদমাধ্য়মের সামনে প্রতিনিয়ত আচার্যকে অপমান করছেন শিক্ষামন্ত্রী। তখন বিচারপতি বলেন, আমরা এসবের মধ্য়ে ঢুকতে চাই না। আপনাদের আলাদা মতামত থাকতেই পারে। আমাদের অগ্রাধিকার বিশ্ববিদ্য়ালয় এবং পড়ুয়ারা। শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্ট কার্যত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়, এই সংঘাত শেষ হওয়া উচিত। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং শিক্ষার মানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।বিশিষ্ট ব্য়ক্তিকে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। যাতে প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধি পায়। যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।রাজ্য় সরকার ও আচার্যের উচিত একসঙ্গে কাজ করা। তাতে নিয়োগকারীদের মর্যাদাও বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও বলে, শেষবারের শুনানিতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রাজ্য় সরকার ও আচার্যকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন রাজ্য় সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, বৈঠকে বসার জন্য় রাজ্য় সরকারের তরফে আচার্যকে ৩টে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। সার্চ কমিটি গঠনের জন্য় প্রতিনিধির নাম চেয়ে, UGC-কেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের থেকেও কোনও সাড়া আসেনি।
তখন সুপ্রিম কোর্ট বলে, আচার্য নিয়োগ কর্তা। উনিই কি নির্বাচক?আপনাদের কি মনে হয় না সার্চ কমিটি থাকা উচিত? আচার্য অর্থাৎ রাজ্য়পালের আইনজীবী ফের বলেন, যেখানে যেখানে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, সেখানে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে রাজ্য় সরকার। তখন আচার্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ প্যানেল তৈরি করা হোক। যেখানে রাজ্য সরকার বা আচার্যর কোনও ভূমিকা থাকবে না।রাজ্য় সরকারের আইনজীবী তখন বলেন, সার্চ কমিটিতে অবশ্য়ই রাজ্য় সরকারের একটা ভূমিকা থাকে। কারণ বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলি রাজ্য়েরই।
এদিন ২ পক্ষের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কেন আপনারা স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সমস্য়া নিয়ে কোনও সমাধানের উপায় বলছেন না? কেন আপনারা এমন কোনও কমিটির পরামর্শ দেননি, যেটা আপনাদের উভয়পক্ষের জন্য়ই ন্য়ায়সঙ্গত? তখন রাজ্য় সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, তাহলে, সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি গঠন করে দিক। এরপরই বিচারপতিরা জানান, সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি-কে, ৩-৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৭ শে সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: West Bengal News: সারদাকাণ্ড থেকে রাজীব কুমারের বাড়িতে CBI অভিযান, ফিরে দেখা এজেন্সি-পুলিশ সংঘাত