Jalpaiguri News:রাজ্য সড়কে হাতির হামলায় মৃত্যু সাইকেল আরোহীর, পালিয়ে বাঁচলেন সঙ্গী
Wild Elephant Kills:রাজ্য সড়কে বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু সাইকেল আরোহীর। কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন তাঁর সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা থেকে নাথুয়াগামী রাজ্য সড়কের মরাঘাট জঙ্গলের মাঝখানের এলাকায়।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রাজ্য সড়কে বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু সাইকেল আরোহীর। কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন তাঁর সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা থেকে নাথুয়াগামী রাজ্য সড়কের মরাঘাট জঙ্গলের মাঝখানের এলাকায়। মৃতের নাম অপরেশ সরকার। বয়স ৬২ বছর।
কী জানা গেল?
প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বানারহাট ব্লকের দুরামারির বাসিন্দা। পেশায় সবজি বিক্রেতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, অপরেশ এবং তাঁর সঙ্গী হরেকৃষ্ণ মৃধা সাইকেলে সবজি নিয়ে বানারহাট ব্লকের দুরামারী এলাকা থেকে গয়েরকাটা নাথুয়া রোড দিয়ে গয়েরকাটার দিকে আসছিলেন। হঠাতই মরাঘাট জঙ্গলের মাঝখানে, একটি রাস্তায় উঠে আসে হাতি। হঠাতই বিশালাকার প্রাণীটির সামনে পড়ে যাওয়ায় কী করবেন, বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। কিছু করে ওঠার আগেই তৎক্ষণাই বুনো হাতিটি অপরেশকে শুড়ে পেঁচিয়ে শূন্যে তুলে আছাড় মারে। তার পর জঙ্গলে চলে যায়। যখন এই ঘটনাটি ঘটছে, তখন সড়ক ফাঁকা। ফলে দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে পড়ে ছিলেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ। পরবর্তী কালে স্থানীয় এবং বনকর্মীরাই ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান অপরেশকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আপাতত তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই রাজ্যের নানা প্রান্তেই হাতির হানায় মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা সম্পূর্ণ অজানা নয়। এর মধ্যে চলতি বছরের গোড়ার দিকের একটি ঘটনা বিশেষ ভাবে মনে রয়েছে জলপাইগুড়ির মানুষদের।
মৃত্যু ছাত্রের...
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস। পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল স্কুলছাত্র অর্জুন দাস। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই হাতির হানায় মৃত্যু হল ছাত্রের। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের পাঁচিরাম নাহাটা স্কুলের ছাত্রের এমন পরিণতিতে শোক ও আতঙ্ক ঘিরে ধরেছিল স্থানীয়দের। জানা যায়, সময় বাঁচাতে ফরেস্ট রোড ধরে মোটরবাইকে যাচ্ছিল বাবা ও ছেলে। কুয়াশার কারণে হাতির সামনে পড়ে যায় তারা। বাবা প্রাণে বাঁচলেও ছেলেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারে দাঁতাল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় রেঞ্জারদের সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি, এদিন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও গৌতম দেবকে মৃত পরীক্ষার্থীর বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তবে কতটা নজরদারি রয়েছে? কতটা সতর্ক সাধারণ মানুষ? প্রশ্ন থাকছে।
আরও পড়ুন:'পুরসভায় স্ত্রী ও ভাইয়ের চাকরি..', ED-র নজরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান