Recruitment Scam: 'পুরসভায় স্ত্রী ও ভাইয়ের চাকরি..', ED-র নজরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
ED On Dumdum Municipality: কী কারণে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ?
কলকাতা: ইডি-র নজরে এবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত (ED On Nitai Dutta)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ( Recruitment Scam) সরাসরি জড়িত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান নিতাই দত্ত, দাবি ইডি-র। কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ভাই, বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। নিয়োগ সংক্রান্ত ৭ পাতার নথি উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে, দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে কামারহাটি পুরসভায় খাজানার সন্ধান। এর আগে রিপোর্টে ইডি দাবি করে, পুরসভার অ্য়াসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত চাকরি পাওয়ার ৬ বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়েছেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ছাড়াও মেলে প্রায় আড়াই কেজি সোনা ও হিরের গয়না, দাবি ইডি-র। মেলে তেরোশো পাতার সম্পত্তি-নথি।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন তমাল দত্ত। তারপর থেকে পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Municipality Jpb Scam) তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। পুরসভার একজন অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের এই বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তাঁর আয়ের উৎস কী, জানতে চায় ED।কামারহাটি পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে, সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ, এবং প্রায় ১৩০০ পাতার সম্পত্তির নথি মিলেছে বলেও দাবি করেছে ইডি।
এই সম্পত্তি তৈরি করতে, কামারহাটি পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সময় লেগেছে মাত্র ৬ বছর। ইডির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় চাকরিতে যোগ দেন তমাল দত্ত। আর তার ৬ বছরের মধ্যেই কার্যত 'সম্পত্তির পাহাড়' তৈরি করেন তিনি। এই অভিযুক্তের সঙ্গে পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ার যোগেরও দাবি করেছে ইডি। পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তমাল দত্ত, ইডির দাবি এমনটাই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কী ভূমিকা থাকতে পারে?
কয়েকদিন আগেই, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, তাদের হাতে এসেছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এই গ্রুপের মাধ্যমেই পুর নিয়োগে দুর্নীতির প্রধান চক্র চলত। চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা থেকে টাকার লেনদেন, সবকিছু নিয়েই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ চালাচালি হয়েছে বলে দাবি করে তারা। আর এই গ্রুপের নাকি অ্যাডমিন ছিলেন খোদ অয়ন শীল।
আরও পড়ুন, ফের কলকাতায় এসে কোর্টে হাজিরা বলিউড অভিনেত্রী জারিন খানের
২০১৫ সালে, বালি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রণব অধিকারীর বাড়ির অন্দরমহল থেকে, উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা নগদ ও সোনার গয়না। শৌচাগারের কমোড খুলতেই বেরিয়ে আসে সম্পত্তি। কমোডের পিছনের কাঠের বাক্সেও মেলে টাকার বান্ডিল। আর এবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে কামারহাটি পুরসভায় স্ত্রী ও ভাইকে চাকরি পাইয়ে দেওযার অভিযোগ।