WBCS Mains Preparation Tips: ভয়ভীতি নয়, গুরুত্বপূর্ণ টাইম ম্যানেজমেন্ট, একনজরে WBCS লাস্ট মিনিট সাজেশন
WBCS Mains 2023: আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে লক্ষ্যে অবিচল থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিরূপ ভট্টাচার্য।
কলকাতা: লক্ষ্য সিভিল সার্ভিস? শেষ মুহূর্তে ঠিক কোন কোন বিষয় মনে রাখবেন? টাইম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করা যাবে? গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন দিক? WBCS মেনসের আগে (WBCS 2023) পরীক্ষার্থীদের জন্য লাস্ট মিনিট সাজেশন দিলেন ২০১৮ সালে WBCS পরীক্ষায় তৃতীয় স্থানাধিকারী বর্তমানে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কর্মরত অভিরূপ ভট্টাচার্য।
WBCS মেনস পরীক্ষা ১৬০০ নম্বরের হয়। প্রথমেই থাকে মাতৃভাষা। দ্বিতীয় পত্র ইংরাজি। এই দুই ক্ষেত্রেই বর্ণনামূলক প্রশ্ন থাকে। ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, পলিটি, বিজ্ঞান, অপশনাল প্রতিটি বিষয় নিজের নিজের জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিষয়ের যে মান দেওয়া থাকে তা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ টাইম ম্যানেজমেন্ট। কোনও প্রশ্নে আটকে গেলে সময় নষ্ট না করে টাইম ধরে পরের প্রশ্নটায় চলে যেতে হবে। যাঁরা মেনস দিচ্ছেন তাঁরা প্রত্যেকেই প্রিলিমসে উত্তীর্ণ হয়েই এই ধাপ পর্যন্ত এসেছেন। ফলে পরীক্ষার গুরুত্ব তাঁদের জানা। তাই আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে লক্ষ্যে অবিচল থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিরূপ ভট্টাচার্য।
প্রথম ভাষা হল বাংলা। ২০০ যার পূর্ণমান। এখানে সবথেক গুরুত্বপূর্ণ টাইম ম্যানেজমেন্ট। কারণ প্রত্যেকটা প্রশ্নই বর্ণনামূলক। প্রশ্ন খুঁটিয়ে পড়ে তার প্ল্যানিং করে লিখতে হবে। অনুবাদের ক্ষেত্রে একদম লাইন ধরে ধরে করতে হয়। লেখা যেন অর্গানাইজড সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয় ভাষাও ২০০ নম্বরের এবং বর্ণনামূলক। ৫টা প্রশ্ন থাকবে যার প্রত্যেকটির মান হল ৪০। কমপ্রিহেনসন বা রচনার ক্ষেত্রে বলব এটা আগে করা গেলে সবথেকে ভাল। আগে টপিক বুঝে প্ল্যানিং করে লিখতে হবে। সাম্প্রতিক কালের বিষয়ের উপর রচনা আসতে পারে। যেমন চন্দ্রযান ৩, জি ২০-র মতো টপিক গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি সাধারণ বিষয়ের উপরও রচনা আসে।
ইতিহাস এবং ভূগোলের পূর্ণমান ২০০। এই দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো ভাল করে দেখে নিতে শেষ মুহূর্তে। পয়েন্ট ধরে MCQ প্র্যাক্টিস করে নিতে হবে। ভূগোলের ক্ষেত্রে নদী, ডেমোগ্রাফি, ইকনোমিক জিওগ্রাফি মতো অংশ ভাল করে দেখে নিতে হবে। ইতিহাসের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মুভমেন্ট, Ancient history- র অংশ পড়তে হবে।
সায়েন্স, টেকনোলজি এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মধ্যে পড়ার বিষয় অনেক রয়েছে। বিজ্ঞানে কেউ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও ঘাবড়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। এক্ষেত্রে সামলে দিতে পারে পরিবেশ বিদ্যা, বায়োলজির মতো। পাশাপাশি জোর দিতে হবে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে। মূলত এক বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স খুঁটিয়ে দেখে নিতে হবে শেষ লগ্নে। পয়েন্ট ধরে রিভিসন করে নিতে হবে, কী কী সাম্প্রতিক ঘটনা ঘটেছে।
ইন্ডিয়ান ইকোনমি এবং ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন স্কোরিং একটা অংশ। মনে রাখতে হবে শেষ মুহূর্তে ভাল করে রিভিসন করলে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ধারা এবং সংশোধনগুলো ভাল করে পড়তে হবে। দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তনের মতো বিষয় পড়তে হবে শেষ মুহূর্তে।
অ্যারিথমেটিক এন্ড রিজিওনিংয়ের মতো বিষয়ও খুব স্কোরিং। এক্ষেত্রেও দেখে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্কের ধরণ। যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা নিশ্চয়ই এর মধ্যে দেখে নিয়েছেন কোন কোন অংশগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খুব কঠিন রিজিওনিং তেমন আসে না। এক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ।
অপশনাল পেপার ওয়ান এবং পেপার টু মিলিয়ে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। যার যার অপশনাল যেটা আছে, সেটা ভাল করে রিভিসন দিয়ে নেওয়া। ওই টাইমের মধ্যে পয়েন্ট করে লিখতে হবে। কি ওয়ার্ড দাগ দিয়ে দিলে চোখে পড়ে পরীক্ষকের। জেনারেল উত্তর নয়, প্রশ্ন ভাল করে পড়ে উত্তর লিখতে হবে। যেখানে ডায়াগ্রাম আঁকা সম্ভব, সেখানে অবশ্যই আঁকতে হবে। পরীক্ষার খাতার পাতা কীভাবে উপস্থাপন করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI