IAS Success Story: এভাবেও ফিরে আসা যায়... তিনবারের চেষ্টায় সফল
IAS Success Story of Topper Anjali S: ২০১৭ সাল। টপার। ক্রমতালিকায় স্থান ২৬। তবে এমনি এমনি এই সাফল্য আসেনি। দু-দু'বার তিনি প্রিতেও কোয়ালিফাই করতে পারেননি। তবে ফিরে আসার জেদ আর একাগ্রতা জোরাল থাকলে যে ফিরে আসা যায়, তা দেখিয়ে দেন তৃতীয়বারেই। একেবারে চূড়ান্ত তালিকায় নাম তুলে ফেলেন। টপ ২৬। কেরলের মেয়ে অঞ্জলি। পড়াশোনা কেরলেই।
নয়াদিল্লি: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS, তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? তবে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিজমুখে সে লড়াইয়ের গল্প শুনলে কঠিন রাস্তাটা সুগম হয়ে যেতে পারে। আজ থাকল IAS অঞ্জলির সংগ্রাম কাহিনি।
আরও পড়ুন-UPSC Civil Service Prelims: সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
২০১৭ সাল। টপার। ক্রমতালিকায় স্থান ২৬। তবে এমনি এমনি এই সাফল্য আসেনি। দু-দু'বার তিনি প্রিতেও কোয়ালিফাই করতে পারেননি। তবে ফিরে আসার জেদ আর একাগ্রতা জোরাল থাকলে যে ফিরে আসা যায়, তা দেখিয়ে দেন তৃতীয়বারেই। একেবারে চূড়ান্ত তালিকায় নাম তুলে ফেলেন। টপ ২৬। কেরলের মেয়ে অঞ্জলি। পড়াশোনা কেরলেই।
চাকরি করতেন। তবে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য চাকরি ছাড়েননি। তিন বা চারবছর ধরে প্রস্তুতি-পর্ব চলেছে। কোনওদিনই চাকরি ছেড়়ে দেওয়ার কথা মাথায় আনেননি। চাকরির জন্য প্রস্তুতিতে ঘাটতি হচ্ছে, মাথায় আসতে দেননি তাও। উল্টে, মনে গেঁথে নিয়েছিলেন, চাকরি করতে করতেই পরীক্ষা দেবেন। সফলও তাঁকে হতে হবে।
চাকরি-পর্ব চলতে থাকে। চলতে থাকে প্রস্তুতিও। রাতে পড়তেন। সারা দিনে-রাতে পাঁচ-ঘণ্টার বেশি পড়তেন না অঞ্জলি। পরীক্ষা দেন। তবে দু'বারই অসফল। খুব কাছে এসেও প্রি-পরীক্ষার গন্ডি টপকাতে পারেননি। অনেকেই এই স্টেজে হতাশ হয়ে পড়েন। ছেড়ে দেন প্রস্তুতি। অঞ্জলি অবশ্য উল্টো পথে হাঁটেন। আরও জোরদার করেন প্রস্তুতি। ফলও মেলে হাতেনাতে। পরের বারই বাজিমাত। একেবারে চূড়ান্ত পর্বে সফল।
অঞ্জলির পরামর্শ
প্রি অথবা মেনস। একগাদা বই জোগাড় করে ফেলা নয়। যতটা সম্ভব কম সংখ্যক বই বেশিবার পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অঞ্জলি। আর পরীক্ষার আগে যতবেশি সম্ভব মক টেস্টের পরামর্শও দিয়েছেন। এতে স্পিডও বাড়ে। আর জানা যায়, প্রস্তুতির কোন ধাপে রয়েছেন পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন-IAS Success Story: ব্যাকবেঞ্চার হওয়া মানেই সব শেষ নয়, IAS হওয়া যায়
সব প্রশ্নের উত্তর যে দেওয়া সম্ভব তা নয়। তবে কমন সেন্স প্রয়োগ করে সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। উত্তর লেখার আগে প্রত্যেক প্রশ্ন খুব ভালো করে পড়ে নেওয়া উচিত।
পরীক্ষার্থী কখন পড়বেন সেটা নিজের কমফর্ট জোন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। কাউকে অনুসরণ না করে, নিজের সময় নিজেকেই বের করে নিতে হবে।
অঞ্জলি বলছেন, মন দিয়ে চেষ্টা করলে লক্ষ্যে ঠিক পৌঁছানো যাবে। নিজের যেটা ঠিক মনে হবে, সেটা ধরে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI