NEET Success Story: দিনমজুরের মেয়ে, শত কষ্টেও 'নিট'-এ সফল চারুল
Charul Honariya: বাবা দিনমজুর, ঘরে প্রবল অভাব। কোনও রকমে দিন চলে। তবু স্বপ্নের পথে ছুটতে চেয়েছিলেন চারুল। মনের গোপনে বুনেছিলেন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। নিট পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন চারুল হোনারিয়া।
Success Story: চারুল হোনারিয়া। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার এক অখ্যাত গ্রামের অতি দরিদ্র ঘরের মেয়ে। কেউ চিনত না তাঁকে। চেনার কথাও নয়। দিনরাত হাড়ভাঙা খাটুনির জীবন ছিল তাঁর পরিবারে। বাবা দিনমজুর, কতই বা আয় হয় ! তবু স্বপ্ন কি মানে আর্থিক বাধা ? স্বপ্নের পথে ছুটতে চেয়েছিলেন চারুল। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই মনের গোপনে বুনেছিলেন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। সেভাবেই শুরু। শত ঝড়, শত বাধা পেরিয়ে আজ স্বপ্নপূরণ ! দেশের সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চারুল বুঝিয়ে দিয়েছেন, জীবনে যাই ঘটে যাক না কেন লক্ষ্যে অবিচল থাকতেই হবে।
চারুলের ছেলেবেলা
উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার কর্তারপুর গ্রামে বড় হয়েছেন চারুল। চারুল হোনারিয়া। তাঁর বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর। বলা ভালো ভাগচাষি। অন্য এক প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির জমিতে দিনরাত খেটে চাষাবাদ করতেন তাঁর বাবা। আর তার সঙ্গে আরেকটু বেশি টাকা উপার্জনের জন্য কারখানায় কাজও করতেন। সাতজনের একটি পরিবার এভাবে চালানো খুব একটা সহজ ছিল না কখনোই। পুরো পরিবারে মাসে আয় হত মাত্র ৮ হাজার টাকা। আর এই অভাবের মধ্যেই বড় হয়ে উঠেছেন চারুল। বড় হয়ে উঠেছেন স্বপ্ন নিয়ে। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
স্বপ্নের পথে এক-দু'ধাপ
ইংরেজিতে দুর্বল ছিলেন চারুল। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই সেই ইংরেজির উপর জোর দেওয়া শুরু করেন তিনি। চলে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ। দশম শ্রেণিতে পড়াকালীনই ভারতের মেডিক্যাল এন্ট্রাস টেস্ট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন চারুল। প্রাইভেট কোচিংয়ের জন্য পরিবারের সামর্থ্য ছিল না। তাই একটি বৃত্তির জন্য আবেদন করেন চারুল, সেই বৃত্তি পেয়েও যান আর তা দিয়েই শুরু হয় নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি।
নিট-এ উত্তীর্ণ চারুল
টানা দুই বছর নিরলস পরিশ্রমের পর দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন চারুল হোনারিয়া। জেলার মধ্যে অন্যতম সেরা শিক্ষার্থীর মর্যাদা পান তিনি। তবে লক্ষ্য এখানেই থেমে যায়নি তাঁর। দিল্লির AIIMS-এ ভর্তি হয়ে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল চারুলের। প্রবল ইচ্ছে। আর এভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে ২০১৯ সালের নিট পরীক্ষায় বসে প্রথম প্রচেষ্টাতেই উত্তীর্ণ হন তিনি। তবে প্রথমবারের স্কোরে খুশি ছিলেন না চারুল। তাই পরের বছর ২০২০ সালে ফের একবার পরীক্ষায় বসেন আর এবারেই ঘটে যায় আশ্চর্য ঘটনা। নিট পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যে নথিভুক্ত হয় চারুলের নাম। সর্বভারতীয় স্তরে ৬৩১ র্যাঙ্ক অর্জন করেন তিনি।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI