Success Story: পিওনের কাজ করতেন, সিভিল সার্ভিস পাশ করে সেই অফিসেই আধিকারিক হয়ে নজির গড়লেন এই যুবক
Shailendra Kumar Bandhe: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও সংসারের আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে বাধ্য হয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে পিওনের চাকরি করছিলেন। কিন্তু ভিতরের জেদ কমে যায়নি তাঁর।
Civil Service Exam: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও সংসারের আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে বাধ্য হয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে পিওনের চাকরি করছিলেন। কিন্তু ভিতরের জেদ কমে যায়নি তাঁর। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে সেই একই অফিসে সিভিল সার্ভিস (Civil Service Exam) পাশ করে আধিকারিকের পদে যোগ দেন যুবক। নজির গড়েছেন তিনি। যুবকের নাম শৈলেন্দ্র কুমার বান্ধে (Shailendra Kumar Bandhe), সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় (Success Story) পাশ করে সারা দেশে ৭৩তম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর এই সাফল্য প্রমাণ করেছে যে নিজের ইচ্ছাশক্তির কাছে কোনো বাধাই আদপে মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরেও পিওনের কাজে বাধ্য হন
রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন শৈলেন্দ্র। আর এই নামীদামী প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে যে কোনো ভাল সংস্থায় মোটা অঙ্কের বেতনে তিনি যোগ দিতেই পারতেন, তাঁর কাছে সুযোগও ছিল বিস্তর। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কোনো প্লেসমেন্ট ইন্টারভিউতে তিনি যোগ দেবেন না। সরকারি চাকরি করবেন, এই ছিল তাঁর একান্ত ইচ্ছে। ২০১৫ সালের ছত্তিশগড় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় রায়পুরের কলেজের এক সিনিয়র হিমাংশু সাহু দারুণ র্যাঙ্ক করে সাফল্য পেয়েছিলেন আর তা দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন শৈলেন্দ্র কুমার বান্ধে।
কৃষক পরিবারের সন্তান শৈলেন্দ্র
ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার বিটকুলি গ্রামেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা শৈলেন্দ্রর, পরে তিনি রায়পুরে চলে যান পড়াশোনার সুবাদে। রায়পুরেই প্রাথমিক শিক্ষা ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্পন্ন হয় শৈলেন্দ্রর। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় জেনারেল ক্যাটাগরিতে তিনি ৭৩ র্যাঙ্ক এবং সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে তিনি ২য় র্যাঙ্ক অর্জন করেন।
বাবা-মা ছিলেন বড় অবলম্বন
শৈলেন্দ্র সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা-মা তাঁর পাশে সবসময় ছিলেন। এই বছরই তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দিয়ে পিওনের পদে চাকরি করতে শুরু করেছিলেন। আর এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার প্রিলিমস দিয়েছিলেন শৈলেন্দ্র। তারপরে মেনসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি।
ধৈর্যের পরীক্ষাতেই আসল সফলতা
প্রথম চেষ্টায় পাশ করতে পারেননি শৈলেন্দ্র কুমার বান্ধে। এমনকী মেনস পরীক্ষাতেও পাশ করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রচেষ্টাতে ইন্টারভিউ পর্যন্ত গিয়েও সফল হতে পারেননি তিনি। সবশেষে পঞ্চমবারে আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। পিওনের কাজ করতে করতেই এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, কোনো কাজই ছোট নয়, চাকরির কোনো ছোট বড় হয় না। প্রতিটি পদের একটি নিজস্ব মহিমা আছে। পিওন হোক কিংবা ডেপুটি কালেক্টর উভয় পদেরই সম্মান রয়েছে। প্রতিটি চাকরিতেই সততা ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে হবে আপনাকে। কিন্তু অনেকেই আমাকে সেই সময় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পিওনের চাকরি করার জন্য বিদ্রুপ করেছেন, কিন্তু সেই কথায় আমি নিজেকে কখনও ছোট মনে করিনি।
আরও পড়ুন: এই ব্যাঙ্কে প্রবেশনারি অফিসার পদে চাকরির সুযোগ, ৫০ হাজার থেকে শুরু বেতন- আবেদন করেছেন ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI