(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Telangana Cvoter Exit Poll:KCR কে হারিয়ে কংগ্রেসই কি এবার তেলঙ্গানায়? কী পূর্বাভাস ABP-CVoter Exit Poll-এ?
ABP Cvoter Exit Poll 2023 Live Updates:এক দশক ধরে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর নাম কে চন্দ্রশেখর রাও। তৃতীয় বারও কি সেই পদ ধরে রাখতে পারবেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান?
নয়াদিল্লি: এক দশক ধরে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর নাম কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrasekhar Rao In Telangana Again)। তৃতীয় বারও কি সেই পদ ধরে রাখতে পারবেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান? নাকি বদলে যেতে পারে দ্রাবিড়ভূমের এই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ? কী বলছে এবিপি-সি ভোটার বুথফেরত সমীক্ষা (Telangana ABP Cvoter Exit Poll 2023)? একবার চোখ বোলানো যাক।
কী হতে পারে?
সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, তেলঙ্গানার ১১৯টি আসনের মধ্য়ে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৯ থেকে ৬৫ টি আসন। কেসিআর-এর বিআরএস পেতে পারে ৩৮ থেকে ৫৪টি আসন। BJP-র ঝুলিতে যেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। মিম-সহ অন্য়ান্য় দল ৫ থেকে ৯টি আসন পেতে পারে। শতাংশের হারে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট, বিআরএস পেতে পারে ৩৯%, বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১৬ শতাংশ, আর মিম-সহ অন্য়ান্য় দল ৪% ভোট পেতে পারে।
প্রেক্ষাপট...
আজই এক দফায় নির্বাচন হয়েছে তেলঙ্গানায়। ১১৯ আসনের বিধানসভায় ভোটাভুটি শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫১.৮৯ শতাংশ। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় যে ১৩টি আসন রয়েছে, সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলিতে ভোট শেষ হওয়ার কথা বিকেল ৫টায়। যদিও তেলঙ্গানার মন্ত্রী তথা বিআরএস নেতা কেটিআর রাওয়ের দাবি, ভোট দেওয়ার জন্য নাগরিকদের কোথাও কোথাও রাত ৯টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে বুথফেরত সমীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিআরএস নেতা। তাঁর কথায়, 'এই সব বুথফেরত সমীক্ষা যুক্তিহীন। মানুষ এখনও ভোট দিচ্ছেন... ভারতের নির্বাচন কমিশন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বুথফেরত সমীক্ষায় যে অনুমতি দিয়েছে, সেটিও অত্যন্ত অর্থহীন।' তাঁর কথা কতটা নির্ভুল, তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দ্রাবিড়ভূমের এই রাজ্যে কেসিআরের নেতৃত্বে বিআরএস ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। অন্য দিকে, কংগ্রেস হারানো জমি ফিরে পাওয়ার জন্য জোরদার প্রচার চালিয়েছে। কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য কিছুটা অক্সিজেন জুগিয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। যদিও কেসিআর-শিবির, আগেকার কংগ্রেস সরকারের 'ব্যর্থতা' ও বর্তমানের কৃষক-উন্নয়ন ও নারী-উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জোরদার প্রচার চালিয়েছে। পাল্টা বিআরএসের বিরুদ্ধে শতাব্দীপ্রাচীন দলের হাতিয়ার ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি আবার উন্নয়নের স্বার্থে 'ডাবল ইঞ্জিন' সরকারের কথা বলেছে নিজেদের প্রচারে। একই সঙ্গে কেসিআরের বিরুদ্ধে 'পরিবারতন্ত্র'-র অভিযোগেও শান দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। শোনা গিয়েছে কংগ্রেসি ব্যর্থতার কথাও। সব মিলিয়ে টানটান লড়াই।
আরও পড়ুন:৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট, কী বলল এবিপি সি-ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা?