Dilip Ghosh on WB Election Result: তৃণমূলের ভোটের মুখই নন্দীগ্রামে মুখ থুবড়ে পড়েছেন: দিলীপ ঘোষ
এদিন তিনি বলেন, 'যোগ্য বিরোধী থেকে আগামিদিনে সরকারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করব আমরা।'
কলকাতা: ২০০ আসন তো দূরের কথা, ১০০-র ঘরও পেরোতে পারেনি বিজেপি। তবে রবিবার সন্ধেতেও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে বিজেপির কোনও মুখ নেই বিজেপির হারের কারণ কি এটাই? রবিবার জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপি কোনও রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করে নির্বাচনে লড়াই করে না। দলের নীতি এটাই।"
প্রশ্নকর্তাকে সতর্ক করে দিলীপের মন্তব্য, "গোটা ভোট যার মুখ নিয়ে হল তিনিই তো নন্দীগ্রামে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ফলে মুখের কথা না তোলাই ভাল।" এ দিন সন্ধেতে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই ফের মমতাকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
কখনও রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে চা চক্র। কখনও আবার ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াক। গোটা ভোট মরসুমে ফ্রন্টলাইনে থেকেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রার্থী পদ না পেয়েও প্রতিদিন সকালবেলা সারাদিনের রাজনৈতিক তরজার সুর বেঁধে দিতেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না। স্বাভাবিকভাবেই রবিবার খানিক হতাশার সুরই শোনা গেল রাজ্য সভাপতির গলায়।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যোগ্য বিরোধী থেকে আগামিদিনে সরকারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করব আমরা।' তাঁর কথায়, 'সরকারে আসার পরেও সার্বিকভাবে মানুষ তাদের সতর্ক করেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সুযোগ দিয়েছে আমাদের। এই বাস্তব আমরা মেনে নিয়েছি।'
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে ১২১ আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেই হিসেবের কাছাকাছিও নেই বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তবু হার স্বীকার করতে রাজি নন তিনি, বললেন, 'আমরা জানতাম লড়াই টক্করের হবে। অনেক কম ভোটে লড়াই হয়েছে। দু-একটা ভোট বাড়াতে পারলে অনেক ভোটে জিততাম। এই ব্যর্থতার কারণ খতিয় দেখব। সকলের মতামত নিয়ে আগামিদিনের রণনীতি তৈরি করবে দল।'
আর কী কী বললেন দিলীপ
- ক্ষোভ বিক্ষোভ সব দলেই হয়। এই প্রথম নির্বাচন জেতার মতো লড়াই করলাম।
- আমাদের অভিজ্ঞতা কম ছিল। অভিজ্ঞ কার্যকর্তা ছিল না। এই বিষয়গুলো দেখা হবে।
- বাংলার মানুষ হিংসা-দুর্নীতিকে গুরুত্ব দেননি। তাই এই ফল হয়েছে।
- আমরা আক্রমণের শিকার। তবু আমাদের কর্মীদের মনবল বাড়িয়ে রাখার নির্দেশ দেব।
- কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়, বাংলা যেন কালিমা লিপ্ত না নয়। এটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।
- বাংলার শান্তি বজায় রেখে, কীভাবে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
- বাংলার পালস বুঝতাম বলেই এত লোক এসেছেন। আমাদের কথা শুনেছেন। জনতার মত মেনে নিয়েছি।
- যাঁরা সহযোগিতা করেছন, মেজর বন্ধুরা প্রশাসন বাইকে আমার ধন্যবাদ।