Cattle-Coal-Sand Smuggling Case: কয়লা-বালি-গরুপাচারের ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোর কাছে, বিস্ফোরক শুভেন্দু
শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১২-১৩ সালে কয়লা-বালি-গরুপাচার দুর্নীতিতে ৯০০ কোটি টাকা। ভাইপোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে বিনয় মিশ্র। বিনয় মিশ্রর ভাই গ্রেফতার হয়ে এজেন্সির হেফাজতে।
কলকাতা: কয়লা-বালি-গরুপাচারের ৯০০ কোটি টাকা ভাইপো অভিষেকের কাছে গিয়েছে। বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে কেন্দ্র করে অনেক কথোপকথন সামনে এসেছে। ২০১২-১৩ সালে কয়লা-বালি-গরুপাচার দুর্নীতিতে ৯০০ কোটি টাকা। ভাইপোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে বিনয় মিশ্র। বিনয় মিশ্রর ভাই গ্রেফতার হয়ে এজেন্সির হেফাজতে। ঠিক সময়ে সব তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, পুলিশের একাংশ কয়লা-বালি-গরুপাচার চক্রে জড়িত। বিনয় মিশ্র ও ওই চক্র সম্পর্কে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে শাসক দল। তাইল্যান্ডে ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে টাকা কীভাবে ঢুকেছে প্রমাণ দিয়েছি। রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। বাংলার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এই দুর্নীতিতে ইতি টানা উচিত। দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, আমাকে আটকাতে তৃণমূলের দুটো যুব সংগঠন করা হয়েছিল। বিনয় মিশ্রকে সেই যুবর প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে ফেরার বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্র গ্রেফতার হয়েছেন।
শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করলে বলা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। ধৃত আইসি অশোক মিশ্র শান্তিনিকেতনে টাকা পৌঁছে দিতেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তিনি বলেন, পাচারের টাকা ভোটে বিলি হয়েছে। ঠিক সময়ে সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির জবাব দেবে বাংলার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ধৃতরাষ্ট্র হয়ে বসে থাকতে পারেন না। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, প্রতি মাসে অভিষেকের পকেটে যেত ৪০ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সিন্ডিকেট এর নেপথ্যে।
এদিকে কয়লাকাণ্ডে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা সহ তাঁর বোন এবং বোনের পরিবারের। কয়লাকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার স্বামী ও শ্বশুরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ওই নথিপত্রে লন্ডনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এখন লন্ডনের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই নজর সিবিআইয়ের।