Panchayat Election 2023: দায়িত্বে শুধুই টহলদারি, নাকা চেকিং! পঞ্চায়েত ভোটে কোনও বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী
আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং দুই রাজ্যের সীমানা পাহারা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
![Panchayat Election 2023: দায়িত্বে শুধুই টহলদারি, নাকা চেকিং! পঞ্চায়েত ভোটে কোনও বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী Central forces are not present in any of the panchayat booths Panchayat Election 2023: দায়িত্বে শুধুই টহলদারি, নাকা চেকিং! পঞ্চায়েত ভোটে কোনও বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/07/01/25ef88d5cd6b45cb3054047f4e29cf731688201834080176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিরোধীদের মূল দাবি নস্যাৎ। নির্বাচন কমিশনের নোটিসে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কোনও উল্লেখ নেই। এলাকায় টহলদারি, নাকা চেকিং এবং মানুষের আস্থা অর্জনের কাজে ব্যবহার করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং দুই রাজ্যের সীমানা পাহারা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। 'যেসব জায়গা থেকে হিংসা কিংবা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে কমিশনের কাছে খবর এসেছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে'। এখন প্রশ্ন উঠছে ভোটের আগেই লাগামহীন হিংসা, তারপরেও বুথে থাকবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী!
শেষে বিরোধী দলগুলির আশঙ্কাই সত্যি হল। আদালতের চাপের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী আনলেও, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথের বাইরেই রাখছে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে কোনও বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী!
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে, তারা, নাকা চেকিং, এরিয়া ডমিনেশন, কনফিডেন্স বিল্ডিংয়ের কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আন্তঃরাজ্যে সীমানায় মোতায়েন থাকবে CAPF কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে মোবাইল ফোর্স হিসেবে কমিশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ এলে তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সংযোগ রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে থাকবে এসপি, ডিপিইও, অবজার্ভারদের ফোন নম্বর। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, এটা প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি, ভোটের দিনের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলছেন,যেভাবে হাইকোর্টের অর্ডারকে কমিশন আনওয়ার্কেবল করার চেষ্টা করছে, হাইকোর্ট আস্থা রাখার পরও যে অনাস্থা তৈরি করছে, আমরা এটা আদালতে তুলে ধরব।
২৮ শে জুন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, কড়া সুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলে, আপনাদের নিজেদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ করুন যাতে সাধারণ মানুষ আপনাদের ভরসা করেন। কিন্তু কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর, হারানো ভরসা কি আদৌ ফিরে পাবেন সাধারণ মানুষ? আদালতের নির্দেশের পরও কমিশনের এমন পদক্ষেপে, আস্থা রাখতে পারবে আমজনতা? আগামী শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে, উঠে আসছে এই প্রশ্নগুলোই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)