Dilip Ghosh on Mamata Banerjee : মুকুলদাকে ওরা গদ্দার বলেছিল, আমরাই জাতীয় নেতার সম্মান দিয়েছি : দিলীপ
'' ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছে বিজেপি। জঙ্গলমহল এলাকা থেকে তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে, দুই দফায় খাতাই খুলতে পারবে না তৃণমূল। '' বলেন দিলীপ
কলকাতা : ৬ এপ্রিল রাজ্যে তৃতীয় দফার বিধানসভা ভোট। তার আগে জমজমাট প্রচার। আজ কলকাতায় প্রচার কর্মসূচি রয়েছে দিলীপ ঘোষের। কসবার দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁয়ের সমর্থনে ঢাকুরিয়া থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত রোড শো করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর বেহালা চৌরাস্তা থেকে ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রোড শো এবং গড়িয়া ৪৫ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত রোড শো করবেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকাল থেকেই তৃণমূলকে আক্রমণের মেজাজে দিলীপ। ঢাকুরিয়ায় রোড শোয়ের ফাঁকেই তিনি বললেন, '' ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছে বিজেপি। জঙ্গলমহল এলাকা থেকে তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে, দুই দফায় খাতাই খুলতে পারবে না তৃণমূল। ''
বিজেপি রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, '' এবার মানুষ নিশ্চিন্তে ভোট করতে পারবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে প্রতিটি বুথে । তাই ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, গতবার মানুষকে ভয় দেখিয়ে কলকাতার আশেপাশে বেশ কিছু জায়গায় ভোট করিয়েছে তৃণমূল, কিন্তু এবার আর তা হবে না। বিজেপির হাওয়া উঠেছে চারিদিকে। ''
আগামীকাল রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর যে আসনগুলিতে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর। বাঁকুড়ার যে আট আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে সেগুলি হল তালড্যাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী। আগামীকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারন করছে নন্দীগ্রাম। সেই উত্তেজনাতেই ফুটছে পূর্ব মেদিনীপুর । এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, '' এই জেলা তৃণমূলের গড় ছিল। তাই সব সমাজবিরোধীদের নামিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করবেন মাননীয়া, কিন্তু পারবে না। ''
শুভেন্দুর সঙ্গে তুলনা টেনে মুকুলের প্রশংসা শোনা যায় গতকাল মাননীয়ার মুখে। সেই প্রসঙ্গেও চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, '' এসব পুরনো গল্প অনেক শুনেছি। দলে থাকতে সম্মান তো দেনইনি, উপরন্তু গদ্দার বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মুকুল। তাঁকে সম্মান দিয়েছে বিজেপিই। তাঁকে ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ দিয়েছে এই দলই। তৃণমূল ওঁকে কর্মচারী করে রেখেছিল, বিজেপি জাতীয় স্তরের নেতার সম্মান দিয়েছে। ''