Election 2024:দেবকে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান বাগডোগরা বিমানবন্দরে, অনন্য প্রতিক্রিয়া অভিনেতার
Dev In Bagdogra Airport:বাগডোগরা বিমানবন্দরে তৃণমূল প্রার্থী এবং অভিনেতা দেবকে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। প্রতিক্রিয়ায় মন জয়ের চেষ্টা অভিনেতার।
জলপাইগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরে (Bagdogra Airport) তৃণমূল প্রার্থী এবং অভিনেতা দেবকে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান (Jai Sree Ram Slogan For Dev)। প্রতিক্রিয়ায় মন জয়ের চেষ্টা অভিনেতার। যিনি স্লোগান দিলেন, এগিয়ে এসে তাঁকেই জড়িয়ে ধরলেন দেব। 'ভালোবাসায় কী না হয়, রাম তো সকলের', প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের অভিনেতা প্রার্থীর। আজ রায়গঞ্জে আণমূল প্রার্থীর হয়ে রোড-শোয়ে অংশ নেবেন তিনি।
কী ঘটল?
লোকসভা ভোটের জন্য এই মুহূর্তে প্রচারের-নির্ঘণ্ট ঠাসা তৃণমূলের এই অভিনেতার প্রার্থীর। শুধু নিজের কেন্দ্র ঘাটালে নয়, দলের অন্য প্রার্থীদের জন্যও প্রচার করতে হচ্ছে। সেই সূত্রেই এদিন রায়গঞ্জ আসছেন। কিন্তু বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁকে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। দেব অবশ্য় নিজস্ব স্টাইলে পরিস্থিতি সামলান। যিনি স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁর দিকে এগিয়ে এসে হাত মেলান। পরে জড়িয়ে ধরেন। এখানেই শেষ নয়। বিমানবন্দরের বাইরে কারও কারও সঙ্গে 'সেলফি' তুলতেও দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বিজেপি কর্মীর থেকে বড় হল উনি ভারতবাসী। আমরাই বিভাজন করে রেখেছি। হিন্দু-মুসলিম, তৃণমূল-বিজেপি, গরিব-ধনী। ওঁদেরও দোষ নয়। বড় বড় নেতারাই এই বিভাজন করে রাখেন। তবে আমি এই বিভাজনে বিশ্বাসী নই। সকলেই ভারতীয়। আমি চাই, যিনি-ই জিতুন, দেশের যেন উন্নতি হয়।' দিনপাঁচেক আগে ঘাটালেও তাঁর মুখে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি শোনা গিয়েছিল। রামনবমীর মিছিলে পা-ও মিলিয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য কটাক্ষ করেছিলেন, 'ভক্তিতে নয়, ভয়ে করছে। পাল্টা মন্তব্যও করেন দেব।
প্রেক্ষাপট...
এবার লোকসভা ভোটে দেব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে, জল্পনা কম হয়নি বিনোদন জগতেও। পরে অবশ্য দেব বলেন, 'অভিষেক আর দিদি আমায় এমন একটা প্রস্তাব দেন যার ফলে আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে দু-বার ভাবি। ঘাটালের মানুষের জন্য, তাদের স্বপ্নপূরণ কথার জন্য আমায় এমন কিছু কথা ওঁরা বললেন, যার জন্য আমার মনে হল, এটার জন্য আমি চিরকাল রাজনীতি করতে চাই। ঘাটালে ৭০ বছরের স্বপ্ন রাজ্যসরকারের হাত ধরে, দিদির হাত ধরে হয়তো পূরণ হতে চলেছে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান যে কতটা জরুরি সেটা কলকাতায় থেকে মানুষ হয়তো বুঝবেন না। আমার শেষ বক্তব্যেও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা ছিল। সেই আবেগটা আমার মধ্যে অনেকটাই ছিল। আশা করি সামনের টার্মে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটা সম্ভব হতে পারে। সেটা পূরণ করার জন্যই আবার ঘাটাল থেকে দাঁড়াব। কেন্দ্রীয় সরকার করলে, সেটাও খুব ভাল।' নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে এবার ফের ঘাটাল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। জমিয়ে চলছে প্রচার। কী হয়? জানা যাবে ৪ জুন।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় দফায় হিংসা রুখতে সতর্ক নির্বাচন কমিশন, কী কী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets