Gujarat Assembly Elections 2022: শুরুতেই বাজিমাত করবে আপ, নাকি বজায় থাকবে চেনা সমীকরণই! আজ প্রথম দফার ভোট গুজরাতে
Gujarat Elections 2022: এই গুজরাতেরই ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আমদাবাদ: প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি বলছে, সোজা সাপটা হিসেব হওয়া মুশকিল এ বার। আবার রীতি বলছে, বরাবরের মতো নিরাপদ আশ্রয়ই বেছে নেবেন সাধারণ মানুষ (Gujarat Assembly Elections 2022)। সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ বার গুজরাতে জল মাপতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। সেই সব কাটাছেঁড়ার মধ্যেই চলে এল নির্বাচনের সন্ধি ক্ষণ। বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন গুজরাতে। আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ রয়েছে। ভোটগ্রহণ হবে ৮৯টি নির্বাচনী কেন্দ্রে। বাকি ৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আগামী ৫ ডিসেম্বর (Gujarat Elections 2022)।
প্রথম দফায় গুজরাতে ভোটগ্রহণ হবে ৮৯টি নির্বাচনী কেন্দ্রে
এই গুজরাতেরই ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিগত ছয় নির্বাচনে পর পর বিজেপি-ই জয়ী হয়েছে গুজরাতে (Guajarat)। কিন্তু এত দিন গুজরাতে বিজেপি-র (BJP) মূল প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস। গতবার চমকে দেওয়ার মতো ফল করলেও, ক্ষমতাদখল থেকে দূরেই ছিল কংগ্রেস (Congress)। যাও বা আসন জিতেছিল, একে একে বিধায়কদের অনেকেই বিজেপি-তে গিয়ে উঠেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গুজরাতে আগ্রাসী প্রচার চালিয়েছে তারা। তাই আগেভাগে হিসেব পাওয়া মুশকিল বলে ঠাহর হচ্ছে।
এর আগে, ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২ আসনের মধ্যে বিজেপি গুজরাতে ৯৯টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস জয়ী হয় ৭৭টি আসনে। সে বার কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪১.৪ শতাংশ। এ বার সেই ভোটের প্রাপ্তিত ১২ শতাংশ কমতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে সমীক্ষায়। বিজেপি ৪৫.৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে, এ বারে ভোটের প্রাপ্তি কমতে পারে তাদেরও।
বাকি ৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আগামী ৫ ডিসেম্বর
অন্য দিকে, কেজরিওয়ালের দল শুরুতেই ছক্কা হাঁকাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একধাক্কায় তাদের দখলে ২০ শতাংশের বেশি ভোট যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত কংগ্রেসের ভোটেই তারা ভাঙন ধরাবে বলে ধারণা তাঁদের। তবে মোরবির সেতু বিপর্যয়ের পর বিজেপি-র কিছু ভোটও হাতছাড়া হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।