Hiran Chatterjee: 'হিরণ এসে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন', অভিযোগ ঘাটালে, OC-র সঙ্গেও বচসা, দেব বললেন...
Ghatal Constituency: শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে ঘাটালে।
ঘাটাল: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গোড়াতেই। যত বেলা গড়িয়েছে পুলিশের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। ঘাটালের আনন্দপুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়ালেন বিজেপি-র প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরণ এসে গোলমাল বাঁধিয়েছেন, ভোটদানে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুললেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও তীব্র বচসা বাধে বিজেপি-র তারকা প্রার্থীর। সেই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী দেব। তবে বিরোধী দলের প্রার্থীদের আবারও সৌজন্যই দেখিয়েছেন তিনি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন দেব। (Hiran Chatterjee)
শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে ঘাটালে। সকাল থেকেই সেখানে সক্রিয় হিরণ। রাতভর কেশপুর, আনন্দপুরে বোমাবাজি হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুমিয়ে কাটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পর প্রোটোকল ভেঙে বেশি সংখ্যক গাড়ি নিয়ে এগনোর অভিযোগও ওঠে হিরণের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। সেখান থেকে ঘাটালে সাধারণ মানুষের রোষে পড়েন হিরণ। (Ghatal Constituency) বিজেপি কর্মীরা তিন জনের হাতও ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি গতকাল রাতেও গুন্ডাবাহিনী এনে হিরণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান বলে দাবি করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
এদিন সকালে ঘাটালের আনন্দপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা বাধে। "আপনি ভোটে ঢুকতে পারবেন না" বলে একজনকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় হিরণকে। এর পাল্টা ফুঁসে ওঠেন বাকিরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছিল সকাল থেকে। হিরণ আসার পর থেকেই গোলমাল। আমরা বহিরাগত নই। এখানকার বাসিন্দা আমরা। হিরণ এসে গণ্ডগোল বাঁধালেন। ওঁর জন্য ভোট দিতে পারছি না আমরা।" নিজেদের ভোটার কার্ডও সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেন সাধারণ মানুষ। হিরণ ভোটদানে বাধা দিচ্ছেন বলে দাবি করে রাস্তায় বসে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মানুষজন। লাটিসোঁটা নিয়ে বসে পড়েন কেউ, কেউ আবার শুয়ে পড়েন। হিরণের গাড়ি বেরোতে দেবেন না বলে জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Sujata Mondal: আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন সৌমিত্র,'ওঁকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনেই করি না, বললেন সুজাতা
এর পর জমায়েত ছাড়িয়ে এগিয়ে যান হিরণ। পুলিশের ওসি-র সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। হিরণ বলেন, "আপনার অফিসাররা কোথায়। আমাকে দেখে পিছু পিছু চলে এলেন। আমাকে আটকাচ্ছিলেন কেন?" এর পাল্টা ওসি বলেন, "এভাবে কথা বলবেন না। একদম চমকাবেন না।" পাল্টা হিরণ বলেন, "আঙুল নামিয়ে কথা বলুন। পুলিশের চমকানি অনেক দেখেছি। আমি যেই এলাম, অমনই চলে এলেন। ১৪৪ ধারায় এত লোক কেন?" এর পাল্টা ওসি বলেন, "আপনি এত লোক নিয়ে ঘুরছেন কেন?" হিরণ জানান, তাঁকে এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
আনন্দপুরের স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, মাছের দোকানে মাছ কিনতে এসেছিলেন অনেকে। কিন্তু বাজার করতে আসা মানুষজনের উপর বিজেপি-র লোকজন তড়পানি শুরু করেন বলে অভিযোগ। ভোটদানে বাধাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে দেব বলেন, "তিন মাস ধরে মিথ্যে বলে বলে কাটালেন। আজও হেডলাইনে থাকার চেষ্টা করছেন। ওঁকে শুভেচ্ছা। অন্য প্রার্থীদেরও শুভেচ্ছা। ঘাটালের মানুষজনকে বলব, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন।" কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের হাতে বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন হিরণ। দেবের দাবি, আজ সারাদিন এসবই চলবে। মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগে আহ্বান জানান দেব।