Abhijit Gangopadhyay Announcement Live Updates: তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Abhijit Gangopadhyay retirement : এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। আমি খুব শীঘ্র পদত্যাগ করতে চলেছি বিচারপতির পদ থেকে।"
LIVE
Background
কলকাতা : সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। পরের পর মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI তদন্তেরও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন তিনি। তার পর বড় ঘোষণা করবেন বলেও জানান।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সৌভিক মজুমদারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, "আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। আমি খুব শীঘ্র পদত্যাগ করতে চলেছি বিচারপতির পদ থেকে। মঙ্গলবার ইস্তফা দেব। এই সিদ্ধান্তের বিশদ কারণ পরে বলব। আজ শুধু এটুকু বলব যে, আদালতে আমি যে কাজটা করি, সেই কাজের সময়টা আমার অন্তর বলছে যে শেষ হয়েছে। এখন হয়ত আমাকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে, মানুষের মধ্যে। আমি একটা বৃহত্তর ক্ষেত্রে পদার্পণ করতে চাই। কারণ আদালতে তাঁরাই আসেন, যাঁরা মামলা করতে চান। তার বাইরে বহু মানুষ পড়ে থাকেন। আমার মনে হয়েছে বিচারব্যবস্থায়, আদালত নামের যে প্রতিষ্ঠান, যেখানে ছ'বছর বিচারপতি হিসেবে কাজ করলাম, সেখানে আমার কাজ শেষ হয়েছে। এখানে আর নতুন করে কিছু করার নেই।"
Justice Abhijit Ganguly Retirement Live : দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না বলে WBCS অফিসারের চাকরি ছেড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন WBCS অফিসার হিসেবে। কিন্তু, দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না বলে, সেই চাকরি ছেড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। তারপর আইনজীবী হিসেবে প্র্য়াকটিস শুরু এবং শেষে বিচারপতির কাজে যোগদান। তাঁর একের পর এক নির্দেশ সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এবার অবসরের আগে বিচারপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ফের চমক দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।
Justice Abhijit Ganguly Retirement Live : তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
বঙ্গ রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন, বিচারপতি থেকে ভোটের লড়াইয়ে । ইস্তফা দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইস্তফা, সম্ভবত বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদান। তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভোটের লড়াইয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেই তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ। 'মাঠে নেমে লড়াই করতে বারবার বলেছিল ক্ষমতাসীন দল'। 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই'।
তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'ইতিহাসে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি, আর এটা চৌর্য সাম্রাজ্য'। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'তৃণমূলের শাসনে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা, চলছে অপমানজনক অধ্যায় '।
'সবদিকে একটা অন্ধকার নেমে আসছে, এই অন্ধকার থেকে মুক্ত হতেই হবে'। 'অন্তর বলছে, আদালতে আমার কাজের সময় শেষ হয়েছে'।
'এবার মানুষের জন্য বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে'। 'বিচারপতি হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে, নতুন করে কিছু করার নেই'। ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে এবিপি আনন্দে জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Suvendu Adhikari on Justice Abhijit Gangopadhyay: 'ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে শুভেন্দু
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তারপর রাজনীতির ময়দানে নামতে পারেন (justice abhijit ganguly on resignation) বলেও জানিয়েছেন। বারবার তাঁর সুখ্যাতি করা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Jusctice Abhijit Ganguly) কী বললেন? শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'রাজনীতির কথা বললেই প্রতিক্রিয়া দেব। ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করলে ক্ষতি নেই। ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।' তিনি বলেন, 'পদত্যাগ গৃহীত হবে কিনা, রাজনৈতিক মঞ্চে যাবেন কি না। সামাজিক কাজ করবেন না কি বই লেখার কাজ করবেন? না কি কোনও অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বাংলার কাজ করবেন? সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। বিজেপির তরফ থেকে বলতে পারি ওঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই আমি প্রতিক্রিয়া দেব।'
Justice Abhijit Ganguly Retirement Live : "উনি স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবে বিজেপিকে মেনে নেবেন", বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত
লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) আগে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, ৭ মার্চই সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। আর জল্পনার মাঝে কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের?
আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইস্তফা দেবেন বলে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর আগামী বৃহস্পতিবারই বিজেপি যোগ দিতে পারেন তিনি। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজনীতিতে এরকম একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষ, তিনি যে দলেই যান না কেন সেই দলে উনি সম্পদ হবেন। অ্যাসেট হবেন। আমি বিশ্বাস করি, যেহেতু বিজেপি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পুরো দেশকে আগামীদিনে নিয়ে যাচ্ছে উনি স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবে বিজেপিকে মেনে নেবেন। সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষের রাজনীতি আসা দেশের দশের পক্ষে মঙ্গল। তৃণমূলের অনাচারের বিরুদ্ধে উনি অনেক রায় দিয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে লড়ছে বিজেপি। উনি এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিলে ভেবে দেখব। অন্য দলে গেলে মতাদর্শগত বিরোধিতা থাকবে। ওঁর নিষ্ঠাকে আমাদের দলের কর্মী উচ্চস্থানে রাখেন বলে আমার মনে হয়।''
Kunal Ghosh on Justice Abhijit Gangopadhyay: 'রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য কুণালের
তিনি যখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) পদে, ইনি তখন রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র। এমন দিন যেত না যখন সাংবাদিক বৈঠকে চাঁছাছোলা ভাষায় বিচারপতিকে (Justice Abhijit Ganguly on Resignation) আক্রমণ করতেন না এই মুখপাত্র। কিন্তু সেই সময় পাল্টেছে, ইনিও আর দলের মুখপাত্র পদে নেই। তিনিও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন রবিবার। কিন্তু এবার আর দেখা মিলল না যুযুধান-ঝাঁঝালো আক্রমণের। বরং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কুণাল ঘোষ। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly in Politics) এবিপি আনন্দকে জানালেন, তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। যোগ দিতে পারেন রাজনীতিতে। তবে কোন দল তা তিনি এদিন বলেননি। সেই ঘটনা শোনার পরে কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী কুণাল ঘোষ? তিনি বললেন, 'রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে রাজনীতিতে এলে স্বাস্থ্যকর। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি।' তবে আরও একটি প্রশ্নও তুলেছেন। 'এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে আগের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আগের পেশাগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেটাও স্বাভাবিক।' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েও পোস্ট কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh on Justice Abhijit Ganguly)।