Kolkata Brigade Rally: ভোটের ব্রিগেডে উজ্জীবিত জোট
বঙ্গের ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল আগামী এক মাসের বেশি সময় ধরে পরবর্তী রাজ্য সরকার নির্বাচিত করবেন প্রায় ১০ কোটি রাজ্যবাসী। তার আগে রবিবার ব্রিগেডে ছিল বাম-কংগ্রেস জোটের মেগা শো। সঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ।
হিন্দোল দে, ঋত্বিক মণ্ডল, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: দুয়ারে ভোট। তার আগে আজ ব্রিগেডে একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। তৃণমূল থেকে বিজেপি, একের পর এক তোপ দাগলেন জোটের নেতারা। অস্তিত্ব থাকবে না, জোটের ব্রিগেডকে কটাক্ষ তৃণমূলের। এই ব্রিগেডে লোক পাঠিয়েছে তৃণমূল, আক্রমণে বিজেপি।
রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বললেন, যাঁরা বলতেন কংগ্রেস-সিপিএমকে দূরবীন দিয়ে দেখা যায় না, আজ তারা ব্রিগেড দেখে যাক।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, মমতা-মোদির রাজনৈতিক ডিএনএ এক।
আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকর দাবি, মমতার ঘুম ছুটে গিয়েছে।
বঙ্গের ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল আগামী এক মাসের বেশি সময় ধরে পরবর্তী রাজ্য সরকার নির্বাচিত করবেন প্রায় ১০ কোটি রাজ্যবাসী। তার আগে রবিবার ব্রিগেডে ছিল বাম-কংগ্রেস জোটের মেগা শো। সঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ।
২০১৯-এর তেসরা ফেব্রুয়ারির পর আবারও ব্রিগেডে লাল। তবে এবার তার সঙ্গে পতপত করে উড়ল কংগ্রেসের পতাকা।নজর কাড়ল আইএসএফের সবুজ-সাদা পতাকাও।
ব্রিগেডে জনজোয়ার দেখে উচ্ছ্বসিত জোট নেতারাও তৃণমূল-বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিলেন। মহম্মদ সেলিম বললেন, আমাদের তাপ আরও আরও বাড়াতে হবে। চৈত্রের সেলে আরও তৃণমূলিরা বিজেপিতে যাবে। আমরা এমন তাপ বাড়াব যে বিজেপিকে বাষ্প করে দেব।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর কটাক্ষ, মহম্মদ সেলিম বিজেপিকে বাষ্প করার একটা নতুন ডিজাইন এনেছেন, কিন্তু, সেটা পাল্টে যাবে।
বাম-কংগ্রেসের প্রথম ব্রিগেড থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে আক্রমণ শানালেন অধীর চৌধুরী।মমতা-মোদিকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন আব্বাস সিদ্দিকি।
অধীর চৌধুরী বললেন, যারা বলে এখানে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে, তাদের বলতে চাই, নজর বদলো, নজর বদল জায়েঙ্গে, দিশা বদলো কিনারে বদল জায়েঙ্গে।
আব্বাস সিদ্দিকি বললেন, মমতাকে জিরো করে ছাড়বো। পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, দুটো দল, দুটো দলকে ধরে যাচ্ছিল। এখন একটা স্ক্যাচ এসেছে।
বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য র তীর্যক মন্তব্য, তৃণমূল এনড্রোর্সড একটা বনধ বামেরা করেছিল, কিন্তু, তাতেও হয়নি। তাই তৃতীয় শক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবারই ব্রিগেড সমাবেশের আগে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে একসময় মানুষ যাঁর বক্তৃতা শুনতে ব্রিগেডে ভিড় করত, এদিনের ব্রিগেডে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম মঞ্চ থেকে অবশ্য সেভাবে শোনা যায়নি!
২০১৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি, বামেদের আগের ব্রিগেডে শরীর খারাপ সত্ত্বেও হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে মঞ্চে ওঠেননি।
এদিনও সকাল থেকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল তাঁর দুধসাদা অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু এদিন আর বাড়ি থেকে বেরোননি তিনি। তবে সূত্রের খবর, ব্রিগেড সম্পর্কিত বিষয়ে এদিনও খোঁজ খবর রেখেছেন এই কমিউনিস্ট নেতা।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, উনি যা বার্তা দিয়েছেন ভাল বার্তা দিয়েছেন। সুস্থ থাকলে নিশ্চয় যেতেন। আমি ফিরে গিয়ে কথা বলব।
একদিকে জোটবার্তা অন্যদিকে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে পুরোদস্তুর প্রচারের দামামা বাজিয়ে দেওয়া....আপাতত সফল এই ব্রিগেড। তবে ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন পড়বে কী?