দিগ্বিজয়ের রোড শো-তে সাধু সন্তরা, উঠল ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান’
১৮৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে বিজেপির। সুশীল চন্দ্র ভর্মা, কৈলাস জোশী সহ উমা ভারতীর মতো নেতৃ্ত্ব এই কেন্দ্র থেকেই পদ্ম ফুল ফুটিয়েছেন। তবে দিগ্বিজয় প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লড়াই কঠিন হয়েছে বিজেপির।
ভোপাল: অযোধ্যাই নয়, এবার ‘রাম মন্দির’ ভোটের ইস্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও। সেখানেও ঝড় তুলছে ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান’। কেবল বিজেপি নয়, এবার এই স্লোগানের ওপর ভর করে ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে কংগ্রেসও। মুখে না বললেও, ভোপালের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহর প্রচারে যেভাবে ‘গেরুয়া আধিপত্য’ দেখা গিয়েছে এবং মুখে মুখে রাম নামের খই ফুটেছে তাতে অনেকেই মনে করছেন হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করেই এই কেন্দ্রে লড়ছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার ভোপালের ভবানী চক থেকে লাল প্যারেড গ্রাউন্ড পর্যন্ত সাধুদের নিয়ে রোড শো করেন কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নামদেব ত্যাগীর মতো ধর্মীয় নেতাও। পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই রোড শো-তেই জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলেন শতাধিক সাধুরা। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে মুখে গেরুয়া গামছা জড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীদেরও।
এমনও শোনা যাচ্ছে, দিগ্বিজয়ের হয়ে নাকি এবার সরাসরি ভোট চাইছেন সাধু সন্তরাই। প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে ভোটে হারানোর জন্য যজ্ঞও করেছেন তাঁরা। ভোপালের ধর্মীয় নেতা নামদেব ত্যাগী ওরফে কম্পিউটার বাবা সাফ জানিয়েছেন, “এবার রাম মন্দির না হলে মোদিকে আর ভোট নয়।”
প্রসঙ্গত, ভোপাল থেকে এবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। আর এই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। উল্লেখ্য, ১৮৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে বিজেপির। সুশীল চন্দ্র ভর্মা, কৈলাস জোশী সহ উমা ভারতীর মতো নেতৃ্ত্ব এই কেন্দ্র থেকেই পদ্ম ফুল ফুটিয়েছেন। তবে দিগ্বিজয় প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লড়াই কঠিন হয়েছে বিজেপির। আর সেকারণেই জয়ী সাংসদ অলোক সঞ্জারের পরিবর্তে কট্টর হিন্দু মুখ খুঁজে এনে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা।