‘আমি সন্ন্যাসী, আমাকে ভোট না দিলে অভিশাপ দেব’, প্রচারে বেরিয়ে 'হুমকি' সাক্ষী মহারাজের
“আমি একজন সন্ন্যাসী। তোমরা আমাকে জেতালে আমি জিতব। আর সেটা না হলে আমি মন্দিরে ভজন কীর্তন করব। কিন্তু আমি আজ তোমাদের কাছে ভোট ভিক্ষা করতে এসেছি। একজন সন্ন্যাসীকে যদি ফিরিয়ে দাও, আমি তোমাদের বাড়ির সব সুখ শান্তি কেড়ে নেব।”
উন্নাও: ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। কখনও তিনি বলেছেন, “ধর্ম রক্ষা করতে হিন্দু মহিলাদের অন্তত ৪টি সন্তানের জন্ম দেওয়া উচিত”। কখনও আবার তিনি নবী মহম্মদকে ‘যোগী’ সম্বোধন করে শিরোনাম হয়েছেন। এবার উন্নাওয়ের এই বিজেপি প্রার্থী ভোটভিক্ষা করতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে এসে সাক্ষ্মী মহারাজ বলছেন, তাঁকে ভোট না দিলে তিনি অভিশাপ দেবেন।
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সাক্ষী মহারাজ ভোটারদের বলছেন, “আমি একজন সন্ন্যাসী। তোমরা আমাকে জেতালে আমি জিতব। আর সেটা না হলে আমি মন্দিরে ভজন কীর্তন করব। কিন্তু আমি আজ তোমাদের কাছে ভোট ভিক্ষা করতে এসেছি। একজন সন্ন্যাসীকে যদি ফিরিয়ে দাও, আমি তোমাদের বাড়ির সব সুখ শান্তি কেড়ে নেব।”
প্রসঙ্গত এর আগেও ‘গো-রক্ষা’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উন্নাওয়ের সাংসদ। “মা-কে (গরু) রক্ষা করতে গিয়ে দরকার হলে প্রাণ দেব, আর প্রয়োজন হলে প্রাণ কেড়েও নেব,” এই মন্তব্যই করেছিলেন তিনি। বিতর্কিত রাম মন্দির নিয়েও প্রায়সই সরব হতে শোনা যায় তাঁকে।
দিন কয়েক আগেও খবর প্রকাশিত হয়েছিল, সাক্ষী মহারাজ নাকি বিজেপি নেতাদের ভয় দেখিয়ে টিকিট আদায় করেছেন। সেবিষয়ে বিজেপি মুখে কুলুপ আটলেও উন্নাওয়ের সাংসদ কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছিলেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতিকে চিঠি লিখেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকেই লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সাক্ষী মহারাজ। কখনও মথুরা, কখনও ফারুকাবাদ আবার কখনও উন্নাও থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবারই যেমন উন্নাও থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। ২০১৪ সালেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের এই কট্টরপন্থী নেতা। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের এই সক্রিয় কর্মী মাঝে কয়েক বছর রাজ্যসভাতেও সাংসদ মনোনিত হয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে বৈরিতার কারণে দলও ছেড়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন মুলায়ম সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে। সেই দলের সাইকেল প্রতীকেও জেতেন তিনি। এবার সেই সাইকেল প্রতীকের বিরুদ্ধেই লড়াই তাঁর।