Amit Shah: দিলীপ ঘোষ জিতলে দুর্গাপুরের সব বন্ধ কারখানা ফের চালু হবে : অমিত শাহ
Amit On Dilip: ১৩ মে বর্ধমান-দুর্গাপুরে নির্বাচন, তাঁর আগেই বড় প্রতিশ্রুতি, কী বললেন অমিত শাহ ?
দুর্গাপুর: বাংলায় এসে বড় প্রতিশ্রুতি শাহের (Amit Shah)। রাজ্যে বাণিজ্য মেলার পর বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ফিরেছে বারবার। মূলত তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন তাঁর লক্ষ্য এবার বাংলায় কর্মসংস্থান। বলাই বাহুল্য, নতুন করে ইন্ড্রাস্টি হলে বাংলার বেকারদের মুখে হাসি ফুটবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু নতুন করে শিল্পায়ন হয়েছে কী ? প্রায় প্রতিটি বিজিবিএস (BGBS) এ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্নের সামনে রাখেন বিরোধীদের শীর্ষ নের্তৃত্ব। তার উপর বাংলায় যে কটি কারখানা ছিল, তাও প্রায় বন্ধের পথে, একথাও বারবার বলতে শোনা গিয়েছে বিরোধীদেরকে।
যদিও এবার একথা মানতে নারাজ হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Hooghly TMC Candidate Rachna Banerjee)। তাঁর দাবি তিনি প্রচারে বেরিয়ে তিনি দাবি করেছেন, নিজ চোখে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন। তাই রচনার ব্যাখ্যা, বাংলায় শিল্প বেঁচে রয়েছে। রচনার কথায়,' কে বলেছে শিল্প নেই ?' ইতিমধ্যেই তাঁর ধোঁয়া তত্ত্বের উপরে দাঁড়িয়ে হিট একাধিক মিম। তবে গল্পে নয়া ট্যুইস্ট। এদিন শাহর সভায় ফের আঁচ পাওয়া গেল একুশের ধাঁচে ডবল ইঞ্জিনের গন্ধ। উল্লেখ্য, ১৩ মে বর্ধমান-দুর্গাপুরে নির্বাচন। তাঁর আগেই বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিত শাহ। এদিন অমিত শাহ বলেন, 'দিলীপ ঘোষ জিতলে দুর্গাপুরের সব বন্ধ কারখানা আবার চালু হয়ে যাবে।'শাহ আরও বলেন,' ইস্পাত কারখানা আর ইউরিয়া কারখানায় নতুন করে বিনিয়োগ হবে। দুর্গাপুরে দিদি নতুন শিল্প খুলেছেন, অপরাধের শিল্প। বাংলার দিদিদের মন্ত্রীদের ঘরে টাকার পাহাড় মেলে।'
আরও পড়ুন, কোথা থেকে এল এই বোমা ? পাণ্ডুয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি লকেটের
অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, 'আমাদের দুই কার্যকর্তার রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয়েছে। আমি তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই। দিলীপ ঘোষ আমাদের বড় নেতা। দিলীপ ঘোষকে ভোট দেওয়া মানেই নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বানানো। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া মানেই দেশ থেকেই সন্ত্রাসবাদ এবং নকশালবাদের সমাপ্তি। তৃণমূল রাম মন্দির তৈরির বিরোধিতা করেছিল। নিমন্ত্রণ হওয়া সত্ত্বেও নিজের ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে যাননি। অনুপ্রবেশকারীরা আসলে ওঁর ভোটব্যাঙ্ক। আমাদের দেশের মানুষরা কাশ্মীরের জন্য প্রাণ দিতে পারে। তৃণমূল, বাম আর কংগ্রেস মিলে এতদিন ধরে কাশ্মীরের বিরোধিতা করে এসেছে। কংগ্রেসের আমলে বাংলাদেশ থেকে আলিয়া-মালিয়ারা ভিতরে ঢুকে যেত। এদের মদতেই দেশে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে। ৮০ কোটি মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকার চাল দিয়েছে, দিদি চাল দেয়নি। ১০ কোটি মানুষকে গ্যাস সিলিন্ডারও নরেন্দ্র মোদি দিয়েছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।