Madras HC on ECI: মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত, বাংলার মানুষকে মেরে ফেলার জন্য ৮ দফার ভোট ?: মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, কেরল, তামিলনাড়ুতে এক দফায়, অসমে দু’দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে কেন আট দফায় ভোট করা হচ্ছে? মানুষকে মেরে ফেলার জন্য?
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র তিরস্কার মাদ্রাজ হাইকোর্টের। এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির কথাতেই চলছে নির্বাচন কমিশন। শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য আমরা আবেদন করেছি, কিন্তু তা শোনা হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত পরিষ্কারভাবে বলেছে, কমিশন দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কেরল, তামিলনাড়ুতে এক দফায়, অসমে দু’দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে কেন আট দফায় ভোট করা হচ্ছে? মানুষকে মেরে ফেলার জন্য? বিজেপিতো প্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে । তৃতীয় দফার ভোটের সময় কোভিড সংক্রান্ত পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, বোঝা গিয়েছিল। চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, দফা কমিয়ে ভোট করান। কিন্তু সেই দাবি শোনেনি কমিশন।’’
এদিকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, সারা পৃথিবীতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন! ২০১১-তে কেন আট দফা দাবি করেছিল তৃণমূল। এভাবে মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে। অথচ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এর মোকাবিলায় হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি-সহ কোনও সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতেও নিয়মিত জনসভা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। হাজার হাজার মানুষের জমায়েতে হাতেগোনা কয়েক জনকেই মুখেই মাস্ক পরতে দেখা গিয়েছে। দেশে সংক্রমণ যখন লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সময় নির্বাচনী সভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এমন ‘গা ছাড়া’ মনোভাব নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বার তা নিয়ে কমিশনকে কার্যত তুলোধনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কোভিডে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য কার্যত কমিশনকেই দায়ী করল আদালত। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেন্থিকুমার রামমূর্তির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,''আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। আপনাদের আচরণে দায়িত্ববোধের অভাব ছিল। কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। অথচ রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলগুলি বিধিভঙ্গ করলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।''