Mamata Banerjee: 'চিরকাল কোলে বসিয়ে রাখবে না ED-CBI, বদলা নেবই', কাকে হুঁশিয়ারি মমতার?
Mamata in Haldia: বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচার সভায় ভাষণ দেন মমতা।
হলদিয়া: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি, 'বদলা' নেওয়ার ঘোষণা করলেন মমতা। সরাসরি নাম না করলেও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। (Mamata Banerjee)
বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচার সভায় ভাষণ দেন মমতা। সেখানেই 'বদলা নয়, বদল চাই' নীতি থেকে সরে এসে, 'বদলা' নেওয়ার ঘোষণা করলেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, "আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে, ছাপ্পাভোট হয়েছে। পুরো ভোট লুঠ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলে নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে জেলাশাসক, SP, IC সব পাল্টে দেওয়া হয়েছিল গায়ের জোরে। নির্বাচনের পর লোডশেডিং করে ফলাফল পাল্টে দেয়।" (Mamata in Haldia)
এর আগেও নন্দীগ্রামে পরাজয় নিয়ে একই অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে আদালতেও গিয়েছেন তিনি। তবে এদিন সরাসরি 'বদলা'র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মমতা বলেন, "আজ না হয় কাল, বদলা তো নেবই আমি। কী ভাবে, কী উপায়ে, তা আগামী দিন পথ দেখাবে। চিরকাল বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে না, সিবিআই-ইডি-আয়কর কোলে বসিয়ে রাখবে না। যাঁরা করেছেন, তাঁদের বলি, মাথার উপর যদি ঈশ্বর-আল্লাহ্ থেকে থাকেন, তাঁরাই করবেন। বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে বলে কমিশনকে দিয়ে মেদিনীপুর লুঠ করে। আমি আদালতে মামলা করেছি। পড়ে আছে এখনও। আজ না হয় কাল, বদলা নেবই নেব। কারণ ওটা নন্দীগ্রামের মানুষের রায় নয়।"
আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: জলপাইগুড়িতে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ তৃণমূলের
এর আগে, একাধিক বার 'বদলা নয়, বদল চাই' ধ্বনি শোনা গিয়েছে মমতা এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মুখে। বাম জমানার অবসান ঘটার পর রাজ্যে যখন ক্ষমতায় আসে তৃণমূল, সেই থেকে এ যাবৎ নিজেদের এই অবস্থানই বার বার তুলে ধরেছেন তাঁরা কিন্তু এদিন হলদিয়ায় মমতা 'বদলা' নেওয়ারই হুঁশিয়ারি দেন।
এদিন মমতা আরও বলেন, "এখানে যারা গদ্দারি করেছে, তৃণমূলের খেয়ে, তৃণমূলের লুঠ করে...আমরা জানতেও পারিনি।" সরাসরি যদিও কারও নাম মুখে আনেননি মমতা, তবে তাঁর নিশানায় শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবার বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল নিয়েও এদিন এই সভা থেকে আবারও সরব হন মমতা। কার কারা টাকা নিয়েছিলেন, সব বেরোবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। চাকরি বাতিল হয়েছে যাঁদের, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। অন্যের ঘর ভাঙলে নিজের ঘরও ভাঙে বলে মন্তব্য করেন।