Amit Shah in Mukhomukhi: নেতাজি কি গুজরাতে বহিরাগত ছিলেন? প্রশ্ন অমিত শাহর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা, বিজেপিকে বারবার বহিরাগত বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন। বরাবরই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের এই অভিযোগ খারিজ করতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদাহরণ টানলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা, বিজেপিকে বারবার বহিরাগত বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন। বরাবরই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের এই অভিযোগ খারিজ করতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদাহরণ টানলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাংলায় প্রচারে এসেছেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'সুভাষবাবু যখন অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন, উনি কি পুরো দেশে বহিরাগত ছিলেন? বাংলার এক ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন বলে গুজরাতে কি উনি বহিরাগত ছিলেন! প্রণববাবু দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশে কি উনি বহিরাগত ছিলেন! এ কী নীচু মনের পরিচয়! বাংলার সংস্কৃতি তো এটা নয়। হয়তো কোনও পরামর্শদাতার বুদ্ধিতে মমতা দিদি চলছেন।'
২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলা, ওড়িশা ও কেরলের মসনদ দখল করতে পারলে বিজেপির স্বর্ণযুগ আসবে। রাজনৈতিকভাবে বাংলা আপনাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘দেখুন, আমি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ছিলাম। আমার দায়িত্বই ছিল গোটা দেশে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলার বিজেপি কী নিয়ে তৈরি হবে, বাংলার মানুষদের নিয়েই তৈরি হবে। বাংলার প্রত্যেক কোণে আমার রাজনৈতিক দলকে পৌঁছে দেওয়া তো আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। দিলীপ ঘোষ তো বাঙালি। স্বপন দাশগুপ্ত বাঙালি। (অশোক) লাহিড়ি লড়াই করছেন, উনি কে? এঁরা সকলে বাংলার ভূমিপুত্র। আমাদের দল সরকার গড়লে স্বাভাবিকভাবেই সকল নেতা-মন্ত্রীরা বাঙালিই হবেন। এতে আপত্তির কী আছে।’
৩০ শতাংশ মুসলিম ইচ্ছা করলে ভারতে চারটে পাকিস্তান বানাতে পারে, নানুরে তৃণমূল নেতার হুমকিতে বিতর্ক
তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, 'গণতন্ত্রে কি এরকম কোনও নিয়ম আছে যে, ক্ষমতায় যে দল রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আর কেউ প্রার্থীই দিতে পারবে না!' বারবার বলা হচ্ছে, বাংলার মসনদ দখলের দৌড়ে নামা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও মুখ নেই। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলছেন, 'উত্তরপ্রদেশে যখন আমরা সরকার গড়েছিলাম, সেখানেও আমাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিল না। ঝাড়খণ্ডেও কেউ ছিল না। বেশ কয়েকটি রাজ্যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আগাম তুলে না ধরেও আমরা সরকার গড়েছি। এখানেও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের কেউ এসে যাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে।' তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'ধৈর্য ধরুন।'