Panchayat Election 2023: মুর্শিদাবাদে ভোট-সন্ত্রাস, গুলিবিদ্ধ ৪
Murshidabad TMC CPM Clash: ডোমকলে গুলিবিদ্ধ ৪ দলীয় কর্মী, দাবি তৃণমূলের।
মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে ভোট-সন্ত্রাস, গুলিবিদ্ধ ৪ (Murshidabad Shootout)। ডোমকলে গুলিবিদ্ধ ৪ দলীয় কর্মী, দাবি তৃণমূলের। মূলত সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে (CPM TMC Clash) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই ৪ জন বলে শেষ পর্যন্ত খবরে জানা গিয়েছে। সিপিএমের মিছিলে (CPM Rally) হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, এদিন , ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'যেখানে ভোট-অশান্তি সেখানেই যাব।' সন্ত্রস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান রাজ্যপাল। 'সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বেছে বেছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই', প্রশাসনকে নিশানা করে ফের বললেন রাজ্যপাল।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন পর্বের দিন থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা উঠে আসছে। জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিকে দিকে অশান্তির ছায়া ধরা পড়েছে। যে কারণে ভাঙড়-সহ একাধিক জায়গায়, মূলত যে জায়গাগুলিতে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল, সেই জায়গায় সফর করেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল। হিংসা রুখতে, অভিযোগ জানাতে রাজভবনে খোলা হয় চব্বিশ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম। আর এমনই এক আবহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল সম্প্রতি আরও বলেছিলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
মূলত, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ভোটের ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় কে থাকবে এ এক বরাবরের বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলে প্রতিবারই। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্য উঠে এসেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। আদালতের দ্বারস্থ হলেও শেষ অবধি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আরও একধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে শাসকদলও। তবে গুড়ে বালি একটা জায়গাতেই। তা হল বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজীব সিনহা। এখানে যত মাথা ব্যাথা গেরুয়া শিবিরের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও অস্বস্তি এই অন্য জায়গাতেই। যদিও কংগ্রেস, বামেদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা এনিয়ে তত্ত্ব রয়েছে।