Panchayat Election 2023 : 'স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই দেয়নি', কমিশনের ঘাড়ে দায় চাপালেন BSF-এর DIG !
Role of Central Force : ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোর্ট-কাছারি কিছুই বাদ রইল না, তাদের এই ভূমিকা ?
কলকাতা : ভোটের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। গতকাল ভোটের দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক হিংসার ছবি সামনে এলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় সেরকম কোনও দৃষ্টান্ত সামনে আসেনি। এমনই অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন মহল। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোর্ট-কাছারি কিছুই বাদ রইল না, তাদের এই ভূমিকা ? অবশ্য BSF-এর DIG দায় চাপালেন কমিশনের ঘাড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। ডিআইজি এস এস গুলেরিয়ার দাবি, স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাওয়া হলেও তা মেলেনি।
তিনি বলেন, "যেখানে যেখানে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, সেখানে কোনও প্রাণহানি হয়নি। যেখানে বাহিনী মোতায়েন ছিল, সেখানে খুব সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। দুই-এক জায়গায় যেখানে উপদ্রবের চেষ্টা করা হয়েছিল, সেখানে আমাদের বাহিনী খুব পেশাগতভাবে পরিস্থিতির সামাল দিয়েছে। এক জায়গায় আমাদের দু'বার বাতাসে ফায়ার করতে হয়। এক জায়গায় স্টেন গান ফায়ার করতে হয়। যার জন্য ওখানে থাকা লোকজন যারা সমস্যা করছিল, তারা চলে যায়। সেখানে ঠিকভাবেই ভোট হয়। এক জায়গায় বুথ দখলের চেষ্টা হচ্ছিল। সেখানে বিএসএফ মোতায়েন ছিল। পাঁচ জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। বলার অর্থ, যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল, সেখানে সেখানে কোনও প্রাণহানি হয়নি।"
কোচবিহার থেকে মুর্শিদাবাদ। সবথেকে বেশি ভোট হিংসার জন্য যে দুই জেলা দিনভর শিরোনামে উঠে এসেছে, সেই সব জেলাতেও ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তেমনভাবে দেখা যায়নি। বহু দাবি, আইনি লড়াইয়ের পরে, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বাংলায় ! কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে সেই বাহিনী কোথায় গেল ? তা নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক মহলে! এনিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এত হাজার হাজার ফোর্স নিয়ে আসা হল, সেন্ট্রাল ফোর্স। তারা কোথায় ছিল ? আমাদের জেলায় কোথাও আমরা দেখিনি। আশপাশের জেলাতেও নেই। তাহলে কী করল ? আমি দেখলাম, হাইওয়েতে গাড়ি করে তারা ঘুরছে। তাদের বলা হয়েছে, কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। কোথাও চা খাচ্ছে। এগরাতে দেখি থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। যেহেতু কোর্ট জোর করে পাঠিয়েছে, সেজন্য ওরাও ব্যবহার করতে দেয়নি। না হলে এত মানুষ খুন হত না।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন