Panchayat Election : চূড়ান্ত অব্যবস্থা, লজিস্টিকের অভাব, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনকে দায়ী করে কড়া চিঠি বিএসএফের আইজির
Central Force : লজিস্টিক সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থাপনায় ছিল চূড়ান্ত অব্যবস্থা। অনেক জায়গায় বাহিনী ঠিক কোথায়, তার খোঁজও তাঁরা পাননি বলেই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।
কলকাতা : গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে রক্তস্নাত হয়েছে বাংলা। দিকে দিকে দেখা গিয়েছে বেলাগাম হিংসা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) দিনেই চলে গিয়েছে এক ডজন প্রাণ। সবমিলিয়ে এবারের ভোটপর্বে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের দিন যত এগিয়েছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে অশান্তির খবর। আর তার সঙ্গেই অভিযোগ উঠেছে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। অনেক জায়গাতেই দৃষ্কৃতী তাণ্ডবের অনেক পরে সেখানে পৌঁছেছে রাজ্য পুলিশ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী গেল কোথায় ? আর সেই প্রশ্নেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) নিশানা করলেন বিএসএফের আইজি।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সম্বন্বয়ের কাজ সামালাচ্ছেন বিএসএফের আইজি। তিনিই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো ব্যবহার না করা নিয়ে কমিশনকে কড়া আক্রমণ করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত অব্যবস্থার দিকে প্রশ্ন তুলে কড়া চিঠিও দিয়েছেন তিনি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথে নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যত কোনও ব্যবস্থাই সেভাবে করা হয়নি। লজিস্টিক সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থাপনায় ছিল চূড়ান্ত অব্যবস্থা। অনেক জায়গায় বাহিনী ঠিক কোথায়, তার খোঁজও তাঁরা পাননি বলেই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।
রাজ্যে গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে হিংসার আশঙ্কা করে শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলিকে। রাজ্য পুলিশে আস্থা রাখার কথা বললেও স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা সময়মমতো চিহ্নিত করতে না পারা থেকে মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ, সবথেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কমিশনারকে একাধিকবার তিরষ্কার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
প্রথমে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যারপর আদালতের সমালোচনার পর আরও ৮০০ কোম্পানি চাওয়া হয়। যদিও বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বল্প সময়ে এসে পৌঁছনো নিয়ে শুরু হয় টালমাটাল পরিস্থিতি। শেষমেশ ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ হয়। একাধিক জায়গা থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু ভোটের হিংসার মাঝে তাঁদের দেখা মেলেনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কথায়, চারভাগের একভাগ, অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার বুথে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর যারপরই গোটা ঘটনা নিয়ে কমিশনের অব্যবস্থাকে নিশানা করে কড়া চিঠি দিয়েছেন বিএসএফের আইজি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন