Panchayat Election: হাইকোর্টে ধাক্কা কংগ্রেসের, পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন খারিজ
High Court:অধীর চৌধুরীর আগে, একই দাবিতে মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও।

সৌভিক মজুমদার ও রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বাড়ছে না দফা। ৮ এপ্রিল, এক দফাতেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধি নিয়ে অধীর চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে অশান্তি।
ভোট ঘোষণার পর থেকে ২৬ দিনে প্রাণ গিয়েছে ১৬ জনের। গুলি, বোমাবাজি, সংঘর্ষ...বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। প্রতিদিনই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল স্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতে পারছে না। তাই এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হলে একাধিক দফায় তা করা হোক। এর মধ্য়ে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কেটেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাওয়া ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই প্রেক্ষাপটে এদিন অধীর চৌধুরীর করা মামলার শুনানিতে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাই নতুন করে দায়ের করা এই মামলায় কোন নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সুশৃঙ্খলভাবে ভোট করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে ভোটের দফা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন নেই।'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'পুলিশ আর তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটকে প্রহসনে পরিনত করতে প্রতিদিন নতুন নতুন পরিকল্পনা করছে। কংগ্রেসের শুধু কর্মী নয়, প্রার্থী, নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশ ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম।
অধীর চৌধুরীর আগে, একই দাবিতে মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। কিন্তু সেই মামলাও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
এরই মধ্যে রাজ্যে ফের ঝরল প্রাণ। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বাবার সামনেই বোমার আঘাতে প্রাণ গিয়েছে ১৭ বছরের স্কুল পড়ুয়ার। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গত ২৬ দিনে মৃত্যু হল ১৬ জনের। ফেরার পথে অতর্কিত আক্রমণ নেমে আসে ইমরানের ওপরে। বাড়ির লোকের অভিযোগ, মিছিল করে বাড়ি ফেরার সময় তাকে লক্ষ্য করে আইএসএফ এবং সিপিএম সমর্থকরা বোমা ছোড়ে, গুলিও করা হয়। রক্তাক্ত ইমরানকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: চোর-ডাকাত-ধান্দাবাজদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, নিজের দলের বিরুদ্ধেই ফের সরব বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন





















