Panchayat Election: ব্যালট বক্স নিয়ে বিক্ষোভ, ধর্নায় খোদ বিজেপি বিধায়ক
Malda:ব্য়ালট বক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মালদায় বিজেপি সাংসদের নেতৃত্বে চলল বিক্ষোভ-কর্মসূচি।
করুণাময় সিংহ, পার্থপ্রতিম ঘোষ ও আবির দত্ত: মালদার গাজোল ব্লকে ভোটে কারচুপি, একটি বুথের ব্যালট বাক্সের খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে স্ট্রং রুমের সামনে ধর্নায় বসলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। অন্য়দিকে, বহরমপুর থেকে দিনহাটা, স্ট্রং রুমের বাইরে দেখা গেল কড়া নিরাপত্তার ছবি।
একাধিক জায়গা থেকে ব্যালট বক্স নিয়ে কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। নন্দকুমারে ব্যালট বক্স কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, গাজোলে ব্যালট বক্স নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে ব্য়ালট বক্স বদলের অভিযোগে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে, রবিবার সকালে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার। অন্যদিকে ব্য়ালট বক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মালদায় বিজেপি সাংসদের নেতৃত্বে চলল বিক্ষোভ-কর্মসূচি।
বিজেপির অভিযোগ, গাজোল ব্লকে ভোটে ব্য়াপক কারচুপি হয়েছে। অবাধে ছাপ্পা ভোট করিয়েছে তৃণমূল। এরইমধ্য়ে একটি বুথের ব্য়ালট বক্সের কোনও খোঁজ নেই বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে শনিবার, ভোটের দিন, রাত ১১টা থেকে শুরু হয় বিজেপি অবস্থান-বিক্ষোভ। স্ট্রং রুমের সামনে ধর্নায় বসেন, মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, গাজোলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন।
মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, 'স্ট্রং রুমে আমরা দেখতে পাই, এখানে নীচের থেকে যে ৮৩ নম্বর বুথের ব্য়ালট বক্স স্ট্রং রুমে পাঠানো হয়েছে, রিসিভ করার পর, কিন্তু তা স্ট্রং রুমে আর আসেনি। পুরোপুরি এখানে ছাপ্পা হচ্ছে, চুরি করা হচ্ছে, ভোট লুঠ করা হচ্ছে। আমরা চাইছি এখানে আবার ভোট হোক।' যদিও বিজেপির অভিযোগ অমূলক বলে দাবি করেন মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী সাগরিকা সরকার।
একদিকে যখন এই ছবি, তখন, উত্তরে, কোচবিহারের দিনহাটায় দেখা গেল স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা। দিনহাটা হাইস্কুলে দেখা গেল ১ কোম্পানি সিআরপিএফ রয়েছে। স্ট্রংরুমের দরজা সিল হয়ে রয়েছে।
অন্য়দিকে, মুর্শিদাবাদেও স্ট্রংরুমে কড়া প্রহরা রয়েছে। বহরমপুর গার্লস কলেজের স্ট্রং রুমে শনিবার গভীর রাতে এসে পৌঁছয় একের পর এক ব্যালট বাক্স। নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। শনিবার ভোটের দিন মুর্শিদাবাদ জুড়ে সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে গোটা বাংলা। কোথাও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া হল। কোথাও আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ব্যালট বাক্স ফেলা হয়েছে পুকুরে। কোনও বুথে চলেছে দেদার ছাপ্পা। সেই সন্ত্রাসের আবহেই যে কটি ব্যালট অক্ষত অবস্থায় বহরমপুর গার্লস কলেজের স্ট্রংরুমে এসে পৌঁছয়, সেগুলিকে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে। ১১ তারিখ এখান থেকেই ভোট গণনার কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: এক মাসে মাল্টিব্যাগার ! এই ৫টি আইপিওতে বিনিয়োগ করে কোটিপতি ইনভেস্টাররা