Panchayat Election: সময় এসে গেছে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার, শুভেন্দুকে নাড্ডা-শাহের ফোন
Suvendu Adhikari: শিশির-পুত্র দাবি করেছেন, ভোট শেষের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করে তাঁকে বলেছেন, সময় এসে গেছে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার।
কলকাতা: ভয়ের ভোট! একের পর এক খুন! পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি! মাস্কেট-বাহিনীর তাণ্ডব। অবাধ বোমাবাজি থেকে দেদার ছাপ্পা! কিংবা ব্যালট লুঠ! কিছুই বাদ গেল না পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election)। উত্তর (North Bengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal), জায়গায় জায়গায় ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য। এদিকে এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanata Majumdar) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ফোন করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
শিশির-পুত্র দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোট শেষের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করে তাঁকে বলেছেন, সময় এসে গেছে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার। ভোটে অবাধ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এদিন কালো ব্যাজ পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন। সেইসময় ভিতর থেকে দোতলার কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হলে, সেই দরজায় উত্তেজিত হয়ে লাথিও মারেন শুভেন্দু অধিকারী।
পরে বেরনোর সময় কমিশনের গেটের বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। পুননির্বাচন থেকে CBI-NIA-র তদন্তের মতো একাধিক দাবি নিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু ছাড়াও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পর পর ফোন করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ। কেমন হয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট তা সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে জানতে চাওয়ার পর লিখিত আকারেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠান অমিত শাহ, এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন, 'কেন যে ভোটের কাজ করতে এলাম', কেঁদে ভাসালেন ভোট-সন্ত্রাসে আক্রান্ত প্রিসাডিং অফিসার
পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস। কোথাও তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। কোথাও তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। কোথাও কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। আবার কোথাও তৃণমূল প্রার্থীর দেওরকে খুনের অভিযোগ। দিনহাটার খাটামারিতে বুথে ঢুকে চলল তাণ্ডব। নির্দলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালালেন তৃণমূল কর্মীরা। জল ঢেলে দেওয়া হল ব্যালট বক্সে। দিনভর অশান্ত থাকল মুর্শিদাবাদ। ডোমকল, ইসলামপুর থেকে সামশেরগঞ্জ। সকাল থেকে একের পর এক জায়গায় চলল গুলি। রক্তাক্ত হল বিরোধী থেকে শাসক সবপক্ষ।