![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Chandrima Bhattacharya: BJP-র মুখপাত্র হয়ে হিংসায় প্ররোচনা রাজ্যপালের, রক্তস্নাত ভোট নিয়ে মন্তব্য মন্ত্রী চন্দ্রিমার
Panchayat Elections 2023: ভোটগ্রহণ মিটে গেলেও, রবিবার সকাল থেকেও অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে।
![Chandrima Bhattacharya: BJP-র মুখপাত্র হয়ে হিংসায় প্ররোচনা রাজ্যপালের, রক্তস্নাত ভোট নিয়ে মন্তব্য মন্ত্রী চন্দ্রিমার Panchayat Elections 2023 WB Minister Chandrima Bhattacharya accused Governor CV Ananda Bose of inciting violence Chandrima Bhattacharya: BJP-র মুখপাত্র হয়ে হিংসায় প্ররোচনা রাজ্যপালের, রক্তস্নাত ভোট নিয়ে মন্তব্য মন্ত্রী চন্দ্রিমার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/07/09/0ff9c3041c14f8aeef1e666c312988a81688895877935338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল ভূরি ভূরি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন হতে দেখা গেল না। বরং পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে ৩৬টি প্রাণ ঝরে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাপক অশান্তি, হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তা নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপের মধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-র মুখপাত্র হয়ে হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
ভোটগ্রহণ মিটে গেলেও, রবিবার সকাল থেকেও অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই নিয়ে এদিন দুপুরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন চন্দ্রিমা। তাঁর বক্তব্য, "কয়েকটি ঘটনা তো ঘটেইছে! এত প্ররোচনা দিয়েছে নানা দিক থেকে! বিরোধীরা...তার সঙ্গে খুব শ্রদ্ধার মানুষ মাননীয় রাজ্যপাল। বিজেপি-র মুখপাত্র হয়ে যেভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, তাতেই এই ঘটনাাগুলি ঘটেছে। প্রত্যেকটি মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের লোকই বেশি বলি হয়েছেন।"
যদিও এই মন্তব্যের জেরে চন্দ্রিমাকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি-র সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, "মহিলারা মায়ের জাত। তিনি যদি এমন মিথ্যাচার করেন, অগণতান্ত্রিক কথা বলেন, ধিক্কার জানানোর কোনও ভাষা নেই। আমি জানতে চাই, তৃণমূলের যাঁরা মারা গিয়েছেন, কাদের হাতে মারা গিয়েছেন? বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, নাকি তৃণমূলের হাতে? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারা গিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোকই বলছেন। পদের লোভে কী ধরনের মিথ্যে বলেন? আমি ভাবতাম শিক্ষিত। কিন্তু শিক্ষিত হলেই সবাই মানুষ হন না। লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়। খুনকে খুন বলুন।"
ভোটের দিন ব্যাপক হিংসা, খুনোখুনির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চোখের সামনে সব ঘটতে দেখেও কেন নিষ্ক্রিয় থাকল তারা, প্রশ্ন উঠছে সব মহল থেকেই। যদিও সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সজল। তাঁর মতে, অন্য রাজ্য থেকেও পুলিশ এনেছিল রাজ্য সরকার। কমিশন ছিল, রাজ্য পুলিশ ছিল। তারা কী করছিল প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সজলের প্রশ্ন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয় কাজ করেনি, অন্য রাজ্য থেকে যে পুলিশ এনেছিলেন, তারা কোথায় ছিল?"
যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকার নেপথ্যে কেন্দ্র-রাজ্য ষড় দেখছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে সমঝোতা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বাংলায় যাতে কিছু না করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যাতে দিদির ক্ষতি না করে, সেই নির্দেশ অবশ্যই দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলকে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভোটের দিন ১২টার সময় বাহিনী আসছে! বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন? বাংলার বিজেপি নেতাদের এ নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)