Sukanta Majumdar : 'যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছাবে না, সেখানে বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা পালন করবে'
Central Force : প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে পথে নামে ভোট কর্মীরা।
কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যেন থামছেই না। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে এবার শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'বিজেপির যেখানে ক্ষমতা আছে, সেখানে যদি কেন্দ্রীয়বাহিনী না থাকে তাহলে বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ করবে। আমরা তৈরি আছি লড়াইয়ের জন্য। আমাদের কর্মীরা তৈরি আছে লড়ার জন্য।'
তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকার উপযুক্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনবে না, এই ইচ্ছা প্রথম থেকেই ছিল। সেই মতোই কাজ করছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার বাধ্য হয়ে কিছুটা কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে। ৮২২ কোম্পানি তারা দাবি করেছিল। কিন্তু, ৮২২ কোম্পানি তো একেবারে দেওয়া সম্ভব নয়। সাধারণত বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের সময় এইভাবে করা হয়। সেই জন্য গোটা দেশে ভোটও বিভিন্ন পর্যায়ে করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সেটা করা হয়েছে। কিন্তু, যা হচ্ছে এখন তাতে নিচু তলার কর্মীরা তো চুপ করে বসে থাকবেন না। সে কংগ্রেসেরই হোক, আর বিজেপিরই হোক। যেখানে যার শক্তি আছে তার প্রতিরোধ করবে। মারামারি হবে, রক্তক্ষয় হবে। বিজেপির যেখানে ক্ষমতা আছে, সেখানে যদি কেন্দ্রীয়বাহিনী না থাকে তাহলে বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ করবে। আমরা তৈরি আছি লড়াইয়ের জন্য। আমাদের কর্মীরা তৈরি আছে লড়ার জন্য।'
ঘোষিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর ১৫ দিন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মতো ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিজ্ঞপ্তি আগেই জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পর, আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রিকুইজিশন দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে গতকাল আরও ৩১৫ কোম্পানি বাংলায় পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করল অমিত শাহের মন্ত্রক। এর মধ্যে প্যারামিলিটারি ফোর্স আসছে ২০০ কোম্পানি। তার মধ্যে ৫০ কোম্পানি CRPF, ৬০ কোম্পানি BSF, CISF থাকছে ২৫ কোম্পানি, ২০ কোম্পানি ITBP, ২৫ কোম্পানি SSB এবং ২০ কোম্পানি RPF থাকছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের স্পেশাল আর্মড পুলিশের ১১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মিজোরাম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও মহারাষ্ট্র, মোট ১২টি রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স পাঠানো হচ্ছে।
৮ জুলাই একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। তাই প্রশ্ন উঠছে, এই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে সাড়ে ৬১ হাজারেরও বেশি বুথে নির্বিঘ্নে ভোট করানো সম্ভব হবে? না, প্রয়োজন হবে আরও সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর? সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে পথে নামে ভোট কর্মীরা।