WB Election 2021: সাহায্য চেয়ে বিজেপি নেতাকে ফোন মমতার! ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি
এরপর নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানান বিজেপি নেতা। প্রলয় পাল বলেন, 'দিদি আপনি যাই মনে করুন-এখন দল থেকে বেরিয়ে এসেছি..যখন যে দলের সঙ্গে রয়েছি, সেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। যখন যে দল করি, আমার পরিবার প্রাণ দিয়ে সেই দলটাই করি। ...আমাকে ক্ষমা করুন'। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
কলকাতা: তমলুকের বিজেপি নেতাকে ফোন করে ভোটে সাহায্য করার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিযোগ বিজেপির। কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারার আশঙ্কা থেকেই ফোন তৃণমূলনেত্রীর, সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে এবার প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর লড়াই একদা ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে তৃণমূল নেত্রী সাহায্য চেয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রলয়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। প্রলয় পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির সহ সভাপতি। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট। এর আগে প্রলয়কে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ করা অডিও ক্লিপ অনুযায়ী ফোনে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ' তুমি ইয়াং ছেলে। অনেক কাজ কর। এবার আমাদের একটু সাহায্য করে দাও। দেখবে কোনও অসুবিধা হবে না'।
অডিও ক্লিপে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'আপনাকে দেখে আমাদের পরিবার রাজনীতি করেছে। আপনার আদর্শ মেনে রাজনীতি করেছি। ২০১১-র ভোটের ফল ঘোষণার পর ব্রাহ্মণ ডেকে যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। ..তবুও একটা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাইনি'।
এরপর নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানান বিজেপি নেতা। প্রলয় পাল বলেন, 'দিদি আপনি যাই মনে করুন-এখন দল থেকে বেরিয়ে এসেছি..যখন যে দলের সঙ্গে রয়েছি, সেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। যখন যে দল করি, আমার পরিবার প্রাণ দিয়ে সেই দলটাই করি। ...আমাকে ক্ষমা করুন'।
এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
বিজেপির এই অভিযোগ সম্পর্কে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, মমতার সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেছেন, কোনও নেতা যদি দুঃখ-অভিমানে দল থেকে দূরে সরে যান, তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করায় অন্যায় কোথায়।
কুণাল বলেছেন, যাঁরা বেইমানি করে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য তৃণমূলের এক নীতি। আর যাঁরা দুঃখ-অভিমানে চলে গেছেন তাঁদের জন্য আলাদা নীতি। এক্ষেত্রে প্রলয় পাল তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ২০১১-য় দল জেতায় যজ্ঞ করেছিলেন। তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করার ক্ষেত্রে ভুল কী আছে!