![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
WB Election 2021 : শীতলকুচিতে মৃতদের বুকে-পিঠে গুলি কেন? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা
১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের কারও পিঠে, কারও বুকে গুলি। তৃণমূলের প্রশ্ন, আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হলে কী করে তা দেহের উপরের অংশে করা হতে পারে ?
![WB Election 2021 : শীতলকুচিতে মৃতদের বুকে-পিঠে গুলি কেন? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা WB Election 2021 sitalkuchi violence post mortem report during the election phase in Bengal WB Election 2021 : শীতলকুচিতে মৃতদের বুকে-পিঠে গুলি কেন? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/19/c717ed68a62b05ae2771948b4cb8673b_original.jpeg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : পিছন থেকে গুলি করা হয়েছিল হামিদুলকে । শীতলকুচিতে মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই কথাই উল্লেখ করা রয়েছে, খবর সূত্রের । ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে । বেশ কিছু জল্পনা এবং প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে সেই রিপোর্ট দেখে।
হামিদুল মিঞার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, পিছন থেকে গুলি চালানো হয়েছিল তাঁর দিকে। বুলেট ছুটে এসেছিল পিছন থেকে । এর থেকে অনুমান হয়ত, হামিদুল পালিয়ে যাচ্ছিলেন , সেই সময় তাঁকে পেছন থেকে গুলি করা হয় । মাঝারি রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ।
দ্বিতীয়, যিনি মৃত, তাঁর নাম সামিউল মিঞা। তাঁর বুকে স্প্লিনটারের ক্ষত, মাথায় ভারী ও ভোঁতা কিছুর আঘাত । এই আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করা হচ্ছে, তাঁকে কোনওভাবে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও তাঁর নাকে রক্তের দাগ আছে ।
এরপর তৃতীয় মৃতের নাম মনিরুজ্জামান মিঞা । তাঁর উপরও মাঝারি রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলা হয়েছে। তাঁর একটি পাঁজর ভেঙে যায় । গুলি চালানোর সময় তাঁর কোমরের নিচে বা দেহের অন্য কোথাও গুলি করা হয়নি। প্রত্যেকেরই পিঠে , বুকে এই জাতীয় জায়গায় আঘাত অর্থাৎ কোমরের নিচে শুধুমাত্র আহত করার জন্য আঘাতের কোনও চেষ্টা এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না , ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে। চতুর্থ নূর আলম মিঞা। তাঁর ক্ষেত্রেও মিডল রেঞ্জ থেকে গুলি।
অর্থাত্ আঘাতের ধরন বলছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে, নিজে বাঁচতে গিয়ে অন্যকে গুলি করার ধাঁচ এটা নয়। শুধু আঘাত করার জন্য গুলি করা হলে, কোমরের নিচে বা শরীরের অন্য কোথাও করা যেত, এক্ষেত্রে সবই বুকে বা পিঠে গুলি।
এই রিপোর্টের কথা জেনে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এটি একটি পরিকল্পিত গণহত্যা । আমাদের দলের তরফে এই বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য গণহত্যা । পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট । কোমরের উপরের অংশে সব আঘাত। ''
তৃণমূলের এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ' ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সব নয়। শুধু দুটো প্রশ্নের উত্তর দিক তৃণমূল। মাননীয় উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়েছিলেন কেন? আর সেই উস্কানির জেরেই গ্রামবাসীরা বুথে হামলা চালিয়েছিল কিনা'
সিআরপিএফের দাবি ছিল, সেদিন তারা গুলি চালিয়েছে বলে গ্রামে কেউ গুজব রটায়। এর পরই ঘর-গেরস্থালির জিনিসপত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। তাদের রুখতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)