Panchayat Election 2023 : 'পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোটের ডিউটি নয়', পথে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ
Violence Before Panchayat Vote : ২০২৩-এর গ্রাম বাংলার ভোটের মনোনয়ন পর্বেই লাগামছাড়া সন্ত্রাস দেখেছে মানুষ। অবাধ বোমাবাজি, খুনোখুনি, রক্তপাত... কী হয়নি !
কলকাতা : ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে পথে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ । প্রতি বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি সংগ্রামী যৌথমঞ্চের। মিছিলের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। তাদের দাবি, '২০১৮-র পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোটের ডিউটি নয়।' অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের মিছিল।ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের দেড়শোতম দিনে ফের পথে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
২০২৩-এর গ্রাম বাংলার ভোটের মনোনয়ন পর্বেই লাগামছাড়া সন্ত্রাস দেখেছে মানুষ। অবাধ বোমাবাজি, খুনোখুনি, রক্তপাত... কী হয়নি ! ১৬ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের পরিস্থিতিতেও, কেন্দ্রীয় বাহিনী রুখতে মরিয়া হয়ে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ছুটেছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষমেশ আদালতের প্রবল ভর্ৎসনার মুখে, কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারমধ্যে মাত্র ২ শতাংশের কিছু বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। তাতেই জেলায় জেলায়, ধরা পড়ছে কিছুটা হলেও স্বস্তির ছবি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই আস্থা সাধারণ মানুষের ? ভয়মুক্ত হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন ভোটার ? গত বৃহস্পতিবার, এবিপি আনন্দে প্রাক্তন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেও বলেছিলেন, সাধারণের ধারণা নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীই। তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের আস্থার কারণেই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে এত পুলিশ থাকে না। সুষ্ঠু ভোটের জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের ধারণা, নিরপেক্ষভাবে সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে পারে সেন্টাল ফোর্স।
সেই ছবিই ধরা পড়েছে মালদায়। মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী এসেছে এই জেলায় ! তাতেই, স্বস্তির ছাপ পুরাতন মালদার সাহাপুরের বাসিন্দাদের চোখে-মুখে। শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানান গ্রামবাসী।
এই পরিস্থিতিতে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা। আগেই রাজ্যে এসেছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
পরে বরাদ্দ করা ৩১৫ কোম্পানি এখনও আসেনি রাজ্যে। কোথায় মোতায়েন হবে, কমিশন জানাতে না পারায় ভিনরাজ্যেই বসে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এমনই খবর সূত্রের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial