Dinhata: মনোনয়ন পর্ব থেকেই চলছে সংঘাত, ভোটের মুখে তীব্র সংঘাত, উপনির্বাচনে বাড়তি নজর দিনহাটায়
West Bengal Bypoll Election 2021 : দিনহাটায় এবার ত্রিমুখী লড়াই। গড়রক্ষায় বিজেপির বাজি অশোক মণ্ডল। আসন ছিনিয়ে নিতে তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ। ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুর রউফ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও আবীর দত্ত, দিনহাটা (কোচবিহার) : উৎসবের মধ্যে বাংলায় আরও এক ভোটযুদ্ধ। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, নদিয়ার শান্তিপুর ও কোচবিহারের দিনহাটায় উপনির্বাচন। শুধু শান্তিপুরে লড়াই চতুর্মুখী, বাকি তিন কেন্দ্র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিধানসভা ভোটে ৪ কেন্দ্রের স্কোরশিট ছিল ২-২। উপনির্বাচনের ফল কী হবে? এই জল্পনার মধ্যে, ভোটের কিছু ঘণ্টা আগেও রাজনৈতিক উত্তাপ কোচবিহারের দিনহাটায়। দিনহাটায় এবার ত্রিমুখী লড়াই। গড়রক্ষার লড়াইয়ে বিজেপির বাজি অশোক মণ্ডল। আসন ছিনিয়ে নিতে তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ। ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুর রউফ।
উপনির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে তৃণমূল। ভোটের মুখে আরও তীব্র হল সংঘাত। বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের এজেন্ট দিতে না পারার অজুহাত বলে দাবি তৃণমূলের। দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল বলেছেন, 'খালি এজেন্ট নয় ভোটারদেরও হুমকি দিচ্ছে উদয়ন গুহের হার্মাদ বাহিনী, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে।' অপরদিকে, দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেছেন, '৪১৭ বুথে এজেন্ট দিতে পারবে না বিজেপি, তার জন্য এখন থেকে এসব কথা বলছে।'
দিনহাটায় মোট বুথ ৪১৭টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮০। দিনহাটা কেন্দ্রের ডিসিআরসি তৈরি হয়েছে দিনহাটা কলেজে। বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা। হাত ভেঙেছিল তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-র। চলেছিল গুলিও। মাত্র ৫৭ ভোটের ব্যবধানে যেবার নিশীথ প্রামাণিকের কাছে হেরেছিলেন উদয়ন গুহ। যদিও বিজেপি সাংসদ তাঁর পদ না ছেড়ে বিধায়ক হিসেবে শপথ না নেওয়ায় স্থির হয় উপনির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন কোচবিহারের দিনহাটার ৪১৭টি বুথের দায়িত্বে থাকবে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নদিয়ার শান্তিপুরের ৩৫৯টি বুথে ২২ কোম্পানি। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দার ৩৩৫টি বুথে ২০ কোম্পানি। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবার ৩৩০টি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। একটি ভোটকেন্দ্রে যদি একটি বুথ থাকে, সেখানে থাকবেন ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে, ৮ জন। ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন জওয়ান।
আরও পড়ুন- চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা, বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী