WB Election: রেকর্ড সপ্তমবার ক্ষমতা দখল করেছিল বামেরা -- ফিরে দেখা ২০০৬
আসন সংখ্যা থেকে শুরু করে ভোট শতাংশের হার-- সবকিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে অনেকটা পিছনে ক্ষমতা ধরে রাখে বামফ্রন্ট।
পশ্চিমবঙ্গে বেজে গিয়েছে ভোটের বিউগল। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটযুদ্ধের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২৭ মার্চ রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিধানসভা ভোট। এক মাস ধরে ৮ দফায় হবে ভোটগ্রহণ। শেষ হচ্ছে ২৯ এপ্রিল। ফল ঘোষণা হবে ২ মে।
এই প্রেক্ষিতে, দেখে নেওয়া যাক, বিগত বিধানসভা ভোটের ফলাফল। আজ এখানে আমরা ফিরে দেখব ২০০৬ সালে হওয়া চতুর্দশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন।
পাঁচ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০০৬ সালের নির্বাচনে। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৭ এপ্রিল থেকে ৮ মে। ফল ঘোষণা হয়েছিল ১১ মে। মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৮ লক্ষ। মোট বুথ ছিল ৫৩ হাজার ২৯৩। প্রায় ৮২ শতাংশ ভোটার নিজেদের মতপ্রকাশ করেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ২৩৫টি আসন জিতে রেকর্ড সপ্তমবারের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখে বামফ্রন্ট। বিরোধী তৃণমূল পায় মাত্র ৩০টি।
আরও পড়ুন
WB Election: সাথ দিয়েছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম, মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা -- ফিরে দেখা ২০১১
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, দফা অনুযায়ী ভোটগ্রহণের বিন্যাস--
তারিখ দফা আসন
১৭ এপ্রিল ১ ৪৫
২২ এপ্রিল ২ ৬৬
২৭ এপ্রিল ৩ ৭৭
৩ মে ৪ ৫৭
৮ মে ৫ ৪৯
সেবারের নির্বাচনে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একদিকে ছিল বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। অন্যদিকে ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট।
সেবার, আসন সংখ্যা থেকে শুরু করে ভোট শতাংশের হার-- সবকিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে অনেকটা পিছনে ক্ষমতা ধরে রাখে বামফ্রন্ট।
বামফ্রন্ট পেয়েছিল ২৩৫টি আসন। এরমধ্যে সিপিএম পেয়েছিল ১৭৬টি। এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩১টি। এরমধ্য়ে তৃণমূল একা পেয়েছিল ৩০টি। ইউপিএ জোট পেয়েছিল ২৬টি। এরমধ্যে কংগ্রেস একা পেয়েছিল ২১টি। অন্যান্যরা জিতেছিল ৬টিতে।
এই নির্বাচন জিতে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কমিউনিস্ট-শাসিত সরকারের তকমা পায় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার।
তবে, এই ফল দেখে সেই সময় অতি বড় বাম সমালোচকের পক্ষেও বোঝা সম্ভব ছিল না, যে পরের নির্বাচন, অর্থাৎ ২০১১ সালে কী ঘটতে চলেছে।
পাঁচ বছর পর ২০১১ সালে রাজ্যে ঐতিহাসিক পালাবদল আসে। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে। উত্থান হয় তৃণমূল কংগ্রেস জমানার। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালেও উড়েছিল তৃণমূলের বিজয়ধ্বজা। একা লড়াই করে তৃণমূল। অন্যদিকে, কংগ্রেসের হাত ধরে লড়াই চালায় বামফ্রন্ট। ২০০-রও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের একটা বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের দোরগোড়ায়। এবার কী হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিক না গেরুয়া-যুগের পত্তন? অপেক্ষায় রাজ্যবাসী...