(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Panchayat Poll 2023 : অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, উত্তপ্ত বারাসাত, দিকে দিকে অব্যাহত অশান্তি
মনোনয়ন পর্ব ঘিরে জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। বোমাবাজি, লাঠিসোটা, গুলি, আর্তনাদ, রক্ত - এটাই পঞ্চায়েত ভোটপূর্ব বাংলার কোলাজ।
হিন্দোল দে, সমীরণ পাল, ভাঙড়, বারাসাত : মঙ্গলবারই ভাঙড়ে আসছেন অভিষেক। তার আগেই উত্তপ্ত এলাকা। আইএসএফ প্রার্থীকে গুলি। পুলিশের সামনে বোমাবাজি। পিছু হটল পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পরও কুছ পরোয়া নেহি। মনোনয়ন পর্ব ঘিরে জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। বোমাবাজি, লাঠিসোটা, গুলি, আর্তনাদ, রক্ত - এটাই পঞ্চায়েত ভোটপূর্ব বাংলার ছবি।
অগ্নিগর্ভ ভাঙড়
মনোনয়ন ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া বিডিও অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যে বিজয়গঞ্জ বাজারে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হল। শতাধিক বোমা ও ৭ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও ইটবৃষ্টি হয়।
বোমার মুখে পিছু হঠে পুলিশ। রক্তাক্ত হন কাশীপুর থানার এক এসআই। বোমার স্প্লিন্টারে এক আইএসএফ কর্মী আহত হন বলে দাবি। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন আটকাতে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, বোমাবাজির খবর দিতে আসায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। বোমা বাঁধার সময় আটক, দাবি পুলিশের। ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির দাবি, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূল হামলা চালায়। ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
বাম প্রার্থীকে মনোনয়নে বাধা
অন্যদিকে, বারাসাতের পরিস্থিতিও উত্তপ্ত। ২ নম্বর ব্লকে বাম প্রার্থীকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। নথি ছিঁডে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাম প্রার্থীর সঙ্গীকে তুলে নিয়ে তাঁর কাছ থেকে ভোটার কার্ড ও মনোনয়নের ফর্ম কে়ড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রোহান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী আব্দুল আলম ও তাঁর দুই সঙ্গীর ওপর গতকাল তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী হামলা চালায়। আতঙ্কে মনোনয়ন জমা না দিয়েই ফিরে যান বাম প্রার্থী। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
'বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা'
ক্যানিংয়েও মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা। অভিযোগ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক অফিসের ভিতরেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের দাবি, বিজেপি প্রার্থীদের মেরে বের করে দেওয়া হয় বিডিও অফিস থেকে। মনোনয়ন জমা না দিতে পেরে ফিরে যান তাঁরা।