New Serial News: শুরু হল সমরেশ মজুমদারের কাহিনী অবলম্বনে নতুন ধারাবাহিক 'চ্যাটার্জী বাড়ির মেয়েরা'
New Serial Entertainment News: ১৮ নভেম্বর থেকে সোম থেকে শনি সন্ধে ৭টায় আকাশ আটে দেখা যাচ্ছে নতুন এই ধারাবাহিক
কলকাতা: আকাশ আটে শুরু হল, সমরেশ মজুমদারের কাহিনী অবলম্বনে নতুন ধারাবাহিক 'চ্যাটার্জী বাড়ির মেয়েরা'। সমরেশ মজুমদারের লেখা 'হিরে বসানো সোনার ফুল' অবলম্বনে শুরু হল নতুন এই ধারাবাহিক। ১৮ নভেম্বর থেকে সোম থেকে শনি সন্ধে ৭টায় আকাশ আটে দেখা যাচ্ছে নতুন এই ধারাবাহিক।
গল্প কিছুটা এই গতিতে এগোবে... দক্ষিণ কলকাতার শহরতলীতে থাকে রিটায়ার্ড সরকারী কর্মচারী সমরেশ চ্যাটার্জী। মধ্যবিত্ত মানুষের ছাপোষা সংসার। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী সন্ধ্যা, পুত্র সুবীর, পুত্রবধূ রঞ্জনা এবং কন্যা তিতির। রঞ্জনা নিতান্ত সাধারণ গৃহবধূ। একটু মুখচোরা, একটু গোঁড়া। চার বছর আগে সুবীরকে ভালোবেসে বিয়ে করে এই বাড়িতে আসা পর্যন্ত চার দেওয়ালের মধ্যেই তার জীবন কাটছে। বাইরের পৃথিবীর জানলা তার কাছে তার স্বামী। রান্নাবান্না, শ্বশুর শাশুড়ি তার স্বামীর সেবা মাঝে মাঝে সিরিয়াল দেখা এই রঞ্জনার জগৎ।
উল্টোদিকে রঞ্জনার ননদ তিতির এম এ পাশ করে চাকরি খুঁজছে হন্যে হয়ে। বাড়ির লোকের ইচ্ছে এবার তিতির বিয়ে করে সংসারী হোক। তিতিরের বয়ফ্রেন্ড অনীকেরও তাই ইচ্ছে। কিন্তু তিতির ভীষ্মের মতো প্রতিজ্ঞা করে বসে আছে নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে কিছুতেই সে বিয়ে করবে না। অতএব বাড়িতে ও বাইরে নিত্য অশান্তি লেগেই রয়েছে। এমন সময় হঠাৎ ই রাস্তায় তিতিরের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ওর ছোটবেলার বন্ধু সুবর্ণার। যার সঙ্গে তিতির স্কুল কলেজের স্টেজে অনেক নাটক করেছে সে সুবর্ণা এখন প্রফেশনাল অভিনেত্রী। তার সিরিয়ালের শুটিং এর মধ্যে ভুল করে ঢুকে পড়েছিল তখনই ওকে লক্ষ্য করে নামকরা প্রযোজক এবং পরিচালক বিভাস দাশগুপ্ত। অডিশানের ডাক আসে। নতুন সিরিয়ালের হিরোইন হিসেবে সিলেকশন হয়ে যায়। সঙ্গে ভালো টাকার কন্ট্রাক্ট।প্রথমে এই কথা বাড়িতে জানাতে ভয় পেলেও একদিন সাহস করে সব বলে দেয় তিতির। পুরনোপন্থী মা দাদা ঠিক নিতে না পারলেও খানিকটা বাবা প্রশ্রয়েই অভিনয়ের জগতে পা রাখে তিতির। পায়ের তলার মাটিকে শক্ত করার লড়াইতে নেমে পড়ে।
প্রায় একই সময় তিতিরের বউদি রঞ্জনার জীবনেও একটা বড় পরিবর্তন আসে। একদিন রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে হঠাৎ-ই যেন তার বদ্ধ জীবনের বাইরে মুক্তির আনন্দ খুঁজে পায় সে। দেখা হয়ে যায় পুরোন বন্ধু উপাসনার সঙ্গে। উপাসনার জীবন রঞ্জনার জীবনের একদম বিপরীত। উপাসনা একা থাকে । একা একাই একটা বড় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিজনেস চালায়।তাক লেগে যায় রঞ্জনার উপাসনার কোম্পানিতে তিতিরের উৎসাহে সুবীরের আপত্তি সত্ত্বেও একটা চাকরি নিয়ে নেয় সে।এতদিন মধ্যবিত্ত ঘরের ভালো বউটি হয়ে থাকা রঞ্জনা পায় অন্যরকম জীবনের স্বাদ।আর যত দিন যায় ,ততই যেন সুবীরের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবনের ফাঁকগুলো আরো বড় করে দেখা যায় তার চোখের সামনে। সূবীর কন্ট্রোলিং। তার মন সংকীর্ণ। স্ত্রী চাকরি করার দুঃখে সে মদ্যপান শুরু করে ,বোনের অভিনয় করা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে। সমরেশ অত্যন্ত ভালো মানুষ, বউমা ও মেয়ের পাশেই থাকেন। কিন্তু সন্ধ্যাকে বোঝা দুষ্কর। তিনি তিতির আর রঞ্জনাকে ভালো যেমন বাসেন তেমনি তাদের নিয়ে বিব্রত বটেন । ছেলের প্রতি রয়েছে অন্ধ স্নেহ। আর আছে সংসার ভাঙন আটকানোর মরিয়া চেষ্টা।
এইভাবেই অভিনেত্রী জীবনের নানান ঘটনার ঢেউয়ে ভাসে তিতির। ভাসতে ভাসতে একদিন অনীকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অন্যদিকে সুবীর ও রঞ্জনার সম্পর্কে ভাঙন দেখা যায়। কোন দিকে মোড় নেবে তিতির ও রঞ্জনার জীবন? চ্যাটার্জী বাড়ির মেয়েদের জীবনের গল্প জানার জন্য দেখতে হবে ১৮ই নভেম্বর থেকে সোম-শনি সন্ধে ৭টায় ‘চ্যাটার্জী বাড়ির মেয়েরা’ শুধুমাত্র আকাশ আটে।
আরও পড়ুন: Amitabh Bachchan: অভিষেক-ঐশ্বর্য্যের বিচ্ছেদ কি পাকা? এই প্রথম এবিষয়ে মুখ খুললেন অমিতাভ বচ্চন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।