১২ বছরেই মাতৃহারা, সাবেকি দুর্গা প্রতিমার মুখে এখনও মা-কে খুঁজি: চিরঞ্জিত
রুপোলি পর্দায় রাজত্ব করতে করতে পেরিয়ে গিয়েছে অনেকগুলো বছর, অনেকগুলো পুজোও। কিন্তু ছোটবেলার সেই মায়ের সঙ্গে কাটানো পুজোই জীবনের সবচেয়ে সেরা সময় বলে মনে হয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর কাছে।
কলকাতা: মাকে হারিয়েছেন ১২ বছর বয়সে। কিন্তু এখনও প্রতিবছর পুজো আসলেই মনে পড়ে, মায়ের আঙুল ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা। তারপর রুপোলি পর্দায় রাজত্ব করতে করতে পেরিয়ে গিয়েছে অনেকগুলো বছর, অনেকগুলো পুজোও। কিন্তু ছোটবেলার সেই মায়ের সঙ্গে কাটানো পুজোই জীবনের সবচেয়ে সেরা সময় বলে মনে হয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর কাছে।
২০ বছর পর পুজোর সময় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। ষড়রিপু ২। নতুন এই থ্রিলার নিয়ে আশাবাদী চিরঞ্জিত। তবে করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে দর্শকদের হলে আসা নিয়ে একটু হলেও অনিশ্চয়তা রয়েছে তাঁর মনে। এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, পর্দার চন্দ্রকান্তের কথায় উঠে এল ছোটবেলার পুজোর গল্প। চিরঞ্জিত বলছেন, 'ছোটবেলার দুর্গাপুজো বলতেই মনে পড়ে, মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়া। দুর্গা প্রতিমার সামনে নিয়ে গিয়ে মা প্রতিবার বলতেন, ইনি মা দুর্গা। প্রণাম করো এনাকে। আমি হাত জোড় করে প্রণাম করতাম। তখন ছোট ছিলাম, প্রতিমাকে মনে হত কী বিশাল! মাথা উঁচু করে ঠাকুরকে দেখতাম। বড় হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়, প্রতিমাটা বোধহয় অতটাও বড় নয়, যতটা ছোটবেলায় মনে হত।'
আর এখনকার পুজো? একটু ভারি গলায় চিরঞ্জিত বললেন, 'এখনও যখন সাবেকি প্রতিমা দেখি, মা দুর্গার মুখের দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্তের জন্য় আমার ভুল হয়ে যায়। মনে হয়, ওটা আমার মায়ের মুখ। হঠাৎ করে মনে হয়, মা কে দেখলাম যেন! এই অনুভূতিটা এখনও আমার মধ্যে একভাবে কাজ করে। দুর্গাপুজো তাই আমার কাছে খুব বিশেষ। তবে পরবর্তীকালে জুড়ি হয়ে গোটা কলকাতা ঘুরে পুজো দেখেছি। নম্বর দিয়েছি। তবে বেশিরভাগই থিমের প্রতিমা দেখি সেক্ষেত্রে। একজন শিল্পী হিসাবে থিমের ঠাকুরের শিল্পটা আমি বুঝি। কিন্তু থিমের ঠাকুরের সঙ্গে ঠিক আত্মস্থ হতে পারি না। ওই আবেগটা আসে না।'